কুৎসিত গালিগালাজ ভরা ভিডিও করে কত টাকা ইনকাম করেন রোদ্দুর রায়? শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে আপনার!

জনপ্রিয় ইউটিউবার রোদ্দুর রায় তার অদ্ভুত ব্লগিং এর জন্য বিখ্যাত। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রূপঙ্কর বাগচী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে নিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন তিনি, তার নিজস্ব ভঙ্গিমায় কুৎসিত ভাষা প্রয়োগ করেছেন সেইসব ভিডিওতে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। কিছুদিন আগে রূপঙ্কর বাগচীকে তিনি পুরো ধুয়ে দিয়েছেলেন কেকে বিতর্কে তার মন্তব্য নিয়ে। রূপঙ্কর বাগচীকে তিনি বলেন, শিল্পী হিসেবে আপনার কোন এথিক্স নেই? আপনি ভালো গাইতে পারেন তো গান না! অন্য কোন শিল্পীকে ছোট করছেন কেন? এরপর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া ভিডিওর কারণে গ্রেপ্তার হন তিনি।
গত দুদিন আগে কলকাতা পুলিশের হাতে গোয়া থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এ রোদ্দুর রায়কে তোলার জন্য কলকাতায় আনা হয়েছে। এই কারণে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি আরো বেশি করে আলোচিত হচ্ছেন। অনেকেই হয়তো জানেন না রোদ্দুর রায়ের আসল নাম অনির্বাণ রায়, তার একটি উপন্যাস আছে নিজের লেখা, এমনকি মনোবিজ্ঞান বিষয়ক একটি বইও আছে তার। অনেকে মনে করেন তার এই গালিগালাজ দেওয়া ভাষা তার গবেষণারই একটি অঙ্গ। যাইহোক খিস্তি দিয়ে যে ভিডিওগুলি রোদ্দুর রায় বানান সেই ভিডিও গুলোর জন্য তার কত টাকা আয় হয় তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার!
হ্যাঁ রোদ্দুর রায়ের ভিডিওগুলি থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়। অনেকে মনে করেন দ্রুত নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য গালিগালাজ আর কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করে এই ভিডিও বানান তিনি যাতে তার নেগেটিভ পাবলিসিটি হয় এবং তার ভিডিওর ভিউ সংখ্যা বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই বাংলা আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করলে সেই ভাষা মানুষকে একটু হলেও কম টানে অন্যদিকে খিস্তিখেউড় গালিগালাজ ব্যবহার করলে মানুষ অনেক বেশি পরিমাণে আকর্ষিত হয়। এমনকি প্রচুর পরিমাণে জাতীয় স্তরের মানুষকে নিজের ভিডিওর দিকে টানতে নিজের ভিডিওর মধ্যে ইংরেজি ভাষার প্রয়োগ করেন রোদ্দুর রায়।
আর এই করেই তার এক একটা ভিডিও পৌঁছে যায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ মানুষের কাছে, যারা রীতিমতো প্রতিদিন তার ভিডিও দেখেন। রোদ্দুরের প্রোফাইলে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে গত দুই দশক ধরে বিভিন্ন শিল্প মাধ্যমে সাররিয়্যাল ও post-modernist ভাবনা ধারার নিরন্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন রোদ্দুর রায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রোদ্দুর রায় একজন বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র ছিলেন তা জানা যায় তার কর্মসংস্থানের মাধ্যমে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় গবেষণা এবং প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতির সঙ্গে পেশাগতভাবে নিযুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য,আজ রোদ্দুর রায়কে যাতে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়া হয় তার দাবিতে আজ ইউটিউবারদের সাথে তার অনুরাগী ও সাধারণ মানুষ ও আদালতের সামনে হাজির হবেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে আদালতের রায় রোদ্দুর রায়ের পক্ষে যাবে না বিপক্ষে সেটাই এখন দেখার!