‘প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে অনেকেই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন’! বিস্ফোরক মন্তব্য ইন্দ্রানী হালদারের

বিগত কিছুদিন পূর্বেই টলিউড হারিয়েছে তাদের এক কাছের মানুষ, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে। আর অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পরই সোশ্যাল মিডিয়া একটা বিষয় যত্রতত্র ঘোরাফেরা করছে। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের টলিউড জগত থেকে হারিয়ে যাওয়ার অন্তরালে বাংলার ইন্ডাস্ট্রি জগতের বুম্বা দাকে বিভিন্ন ভাবে দায়ী করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
এই প্রসঙ্গে বলা যায়, কিছুদিন আগেই পরিচালক রানা সরকার, বুম্বাদার সম্পর্কে কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য এবং কিছু ব্যক্তিগত গোপন কথা দর্শকদের সামনে এনেছিলেন। সেইসঙ্গে সমালোচকদের একাংশ দাবি করছে, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে চক্রান্ত করে বাংলা সিনেমা জগৎ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছিল।
তার সাথে সাথে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অপুর সংসার ‘নামের রিয়েলিটি শো টিতে মাঝে মধ্যেই টলি পাড়ার বহু অভিনেতা অভিনেত্রীদের হাজির হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর দিতে আগেও দেখা গিয়েছে। সেই ‘অপুর সংসার ‘এরই কিছু পুরোনো ভিডিও অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর যেনো ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে।
রিয়েলিটি শোতে হাজির হয়েছিলেন , অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি প্রথমবার নাম উচ্চারণ না করেই বাংলা অভিনয় জগতের প্রথম সারির দুই অভিনেতা অভিনেত্রী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রকাশ্যে। নাম উচ্চারণ না করলেও দর্শকদের মোটেই বুঝতে বাকি ছিল না তিনি কাদের উদ্যেশ্য করে কথা গুলো বলেছেন।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায় সেইসময় নিজের বাংলা ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাওয়ার পেছনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের হাত রয়েছে বলে তোপ দেগেছিলেন। সেরকমই একবার ওই শোতে এসেছিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার , যাঁর ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই সামনে আসছে।
ইন্দ্রানী হালদারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি অভিনয় না করলে কোন পেশাকে বেছে নিতেন ? সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ছোট বেলায় তাঁর এয়ার হোস্টেস হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও , অভিনেত্রী তাঁর বাবার থেকে জানতে পেরেছিলেন, ছোট বাচ্চাদের বমি পরিষ্কার করতে হয়, ফলত সেই ইচ্ছা তাঁর চিরকালের মতোই বিলীন হয়েছিল তারপর থেকে।
মজার ছলে ওই শোতে তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি নাকি বারংবার এখনও প্রেমে পড়তে ভালোবাসেন।”আমার বর খুব লিবারেল। আমরা গিভ অ্যান্ড টেক পলিসিতে বিশ্বাস করি, ও আমায় স্পষ্টই বলে দিয়েছে তুমিও প্রেমে পড়, আমিও প্রেমে পড়ি।” প্রেম সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতেও শোনা গিয়েছিলো ইন্দ্রানী হালদার কে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে অপুর সংসার শোতে এসেই একবার অভিনেত্রী মন্তব্য করেছিলেন, বুম্বাদাকে অনেকেই বাংলা সিনেমার জগতে ব্যবহার করে মুরগি বানিয়েছে, সেইসঙ্গে যে যার নিজের জায়গা তৈরি করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে চলে গেছে, এই প্রসঙ্গে আরও যোগ করে তিনি বলেছিলেন,সবকিছুর পরেও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা বরাবর অটুট রেখেছেন।