হানিমুনে গিয়েই স্বামী তার বন্ধুদের সাথে শোয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল! প্রথম বিয়ের সেই তিক্ততা কাটিয়ে ফের বিয়ের পিঁড়িতে করিশ্মা!

বলিউড অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর নব্বইয়ের দশকে একসময় চলচ্চিত্র জগতে বহু সুপারহিট ছবির নায়িকা ছিলেন। অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৯১ সালে, ‘প্রেম কায়দি’ ছবির মাধ্যমে যেখানে তাঁর সাথে একই সাথে হরিশ কুমার, রমা বিজ এবং পরেশ রাওয়ালকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। তবে তারপর কেটে গেছে বহু বছর অভিনেত্রী ছবির জগৎ থেকে নিজেকে একেবারে সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ভক্তরা আজও ভুলতে পারেননি অভিনেত্রীকে। একইভাবে তিনি থেকে গিয়েছে অনুরাগীদের মনে। একসময় যেমন অভিনয় জগতে সুপারহিট ছবির জন্য তিনি চর্চায় ছিলেন তেমনই ব্যক্তিগত জীবনের জন্য একাধিকবার তাঁর নাম উঠেছে সংবাদের শিরোনামে। কাজ করতে গিয়ে একাধিক অভিনেতার সাথে নাম পর্যন্ত জড়িয়েছে একসময়।
আরও পড়ুন: হাতির কাছে মশা! ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে কোভিডকে তুচ্ছ লাগতো ঐন্দ্রিলার!
২০০৩ সালে অভিনেত্রী কারিশ্মা কাপুর সঞ্জয় কাপুরের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। ২০১৬ সালে দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেইসময় অভিনেত্রীর দুটি সন্তান পর্যন্ত ছিল। সঞ্জয় কাপুরের বিরুদ্ধে অভিনেত্রীর মূল অভিযোগ ছিল, তাঁকে মারধোর এবং শারীরিক অত্যাচার করা হতো। এর থেকে বড় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন, হানিমুনের গিয়ে স্বামী সঞ্জয় কাপুর তাঁকে তাঁর বন্ধুদের সাথে শোয়ার জন্য বলেছিলেন। তারপর থেকেই সমস্যা আরও গুরুতর হওয়ায় সম্পর্ক আর টেকেনি। অবশেষে দুজনের সম্পর্কের ইতি ঘটেছে বহুদিন আগেই।
আজও পর্যন্ত অভিনেত্রী প্রতি বহু পুরুষেরা একেবারে কাবু হয়ে আছেন। কিছুদিন আগেই কাপুর পরিবারের ছেলে রণবীর কাপুর , আলিয়া ভাটের সাথে সাত পাঁকে ঘোরা সম্পন্ন করেছেন।আর সেই বিয়ের পর থেকেও আরও বেশি করে শোনা যাচ্ছে করিশ্মা কাপুর নাকি অতি দ্রুত ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। তবে এই বিষয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনি কিছুই স্থির করে উঠতে পারেননি তবে ভবিষ্যতে যা ঘটবে সবাই দেখতেই পাবেন।
কিছুটা আশা যেনো জুগিয়েছেন তিনি। তাই অনুরাগীরা অপেক্ষায় রয়েছেন, আবার কবে তাঁদের অভিনেত্রীকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দেখতে পাবেন। সেই আশাতেই দিন গুনছেন অনুরাগীরা। বলিউডে বিয়ের গুঞ্জন শোনা গেলেই দর্শকদের মনে যেনো আনন্দ ফুটে ওঠে। ভাইয়ের বিয়ের ঠিক কতদিন পর অভিনেত্রীর বিয়ের ফুল ফোটে সেদিকেও তাকিয়ে এখন সমগ্র ভক্তকুল।