গসিপ

মাস্টার রিন্টু কে এক সময় না খেয়েও দিন কাটাতে হয়েছে! অংকে পেয়েছিলেন ৬৮! মাস্টার রিন্টুর কষ্টের কাহিনী জানলে মন ভিজবে আপনার

একসময় বেশ কয়েকজন শিশুশিল্পীকে আমরা পেয়েছিলাম টলিউডে। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৫, ২০০৬ সাল অবধি যেসব সিনেমাগুলি টলিউড হয়েছে সেখানে এমন অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা রয়েছেন যাদেরকে আমরা পরবর্তীকালে অভিনয় জগতে দেখেছি আবার এমন অনেকেই রয়েছেন যারা হারিয়ে গেছেন। তেমনি বহু শিশুশিল্পী রয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকেই আমরা পরবর্তীকালে অভিনয় জগতে দেখেছি অথবা নায়ক হিসেবেও দেখেছি কিন্তু অনেকেই আবার হারিয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন মাস্টার রিন্টু।

একটা সময় বড় বড় তাবোড় তাবোড় অভিনেতাদের সাথে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গেছে মাস্টার রিন্টুকে। সন্ধ্যা রায়ের মতো অনবদ্য অভিনেত্রীর সাথে দেখা গিয়েছিল তাঁকে বহু সিনেমায়। পরবর্তীকালে বহু সিনেমায় নায়কের বন্ধুর ভূমিকায় দেখতে পাওয়া গেছে। কিন্তু বর্তমানে একেবারেই তাকে বড় স্ক্রিনে দেখতে পাওয়া যায় না। মানুষ একেবারে ভুলতেই বসে ছিলেন অভিনেতাকে।

সম্প্রতি ইউটিউবের একটি সাক্ষাৎকার ভিডিওতে মানুষ আবার তাঁকে ফিরে পান। অভিনেতার ভালো নাম সজল দে। কিন্তু অভিনেতা তাঁর অভিনয় জগতে মাস্টার রিন্টু নামেই খ্যাত। পথ ও প্রাসাদ, শত্রু, মঙ্গলদীপ, গুরুদক্ষিণার মতো সিনেমায় ধারাবাহিক অভিনয় করে গিয়েছেন সজল। এবার আশা করি এই শিশু শিল্পীকে চিনতে কোন অসুবিধা হবে না। তবে সম্প্রতি ইউটিউবে সেই সাক্ষাৎকারে একেবারে অকপট ছিলেন অভিনেতা।

একটা সময় উৎপল দত্ত তাপস পাল প্রসেনজিৎ এর মত তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সাথে অভিনয় করার পরেও সজলকে দেওয়া হতো নায়ক এর বন্ধুর চরিত্র। বাংলা সিনেমায় প্রসেনজিতের ছোটবেলার মানেই মাস্টার রিন্টুর মুখ। ইউটিউব এর চ্যানেলের সাক্ষাৎকার অভিনেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি বঙ্গবিভূষণ পাননি বা পাননি মহানায়কের মতো বড় পুরস্কার। ভূষিত হননি কোন বড় পুরস্কারে। তিনি যা পেয়েছেন তা হলো মানুষের ভালোবাসা মানুষের দেওয়া পুরস্কার। একটা সময় তো এমনও হয়েছিল যে অভিনেতাকে নায়কের বন্ধুর চরিত্রে নিতেও ভয় পেতেন ডিরেক্টরা। নবাগত নায়কের থেকে যদি নায়কের বন্ধু ভালো অভিনয় করে তাহলে তা অসুবিধা। এমনই আরো নানাবিধ কারণের জন্য কাজ পেতেন না অভিনেতা। দিনের পর দিন তাকে না খেয়েও কাটাতে হয়েছে। তবে অভিনেতা বলেন এখন তিনি আগের থেকে অনেক ভাল আছেন।

Related Articles

Back to top button