গসিপ

আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গেছেন কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব! প্রয়াত অভিনেতা সম্পর্কে ৮ অজানা কথা, আসল নাম কী ছিল?

রাজু শ্রীবাস্তব, বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় কমেডিয়ানদের মধ্যে একজন। এমনকি শুধু তাঁর কমেডি নয় তাঁর অভিনয়েও মানুষই প্রশংসা করেছেন একটা সময়। বলিউডের কমেডিয়ানদের লিস্ট বানালে প্রথম দশে নাম থাকবে এই কমেডিয়ানের। মাত্র ৫৮ বছর বয়সেই সকলকে ছেড়ে পরলোক গমন করলেন এই হাস্যকৌতুক শিল্পী। তবে অভিনেতা সম্পর্কে অনেক কিছুই আমরা জানি না। চলুন জেনে নিন কমেডিয়ান সম্পর্কে ৮ অজানা তথ্য।

কমেডিয়ানদের জন্ম ১৯৬৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। জন্মগ্রহণ করেন কানপুরের একটি পরিবারে। ছেলের জন্মের পর প্রথম নাম রাখা হয় সত্য প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তবে তাঁর ডাকনাম ছিল রাজু। বিনোদনের জগতে আসার সময় থেকে এই ডাক নামেরই ব্যবহার করেছিলেন তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই অভিনেতা যুক্ত হয়ে পড়েন বিনোদন জগতের সঙ্গে। “গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ” চ্যালেঞ্জের হাত ধরে হাস্যকৌতুক শিল্পী হিসেবে অভিনেতা প্রথম পরিচিতি পাওয়া শুরু করেন। যদিও তার আগে থেকেই অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত থাকার পরেও নিজের জন্য জায়গা তৈরি করতে পারেননি। “গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ” এর আগে পর্যন্ত শিল্পী ব্যস্ত ছিলেন নিজের পরিচিতি তৈরি করতে।

অভিনেতা নিজে একটি চরিত্রের জন্ম দিয়েছিলেন। সেই চরিত্রের নাম ছিল “গজধর”। পরবর্তীকালে এই “গজধর” চরিত্রটিও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তারপর থেকেই এই শিল্পীকেও গজধর নামেই ডাকা হতো। তবে টেলিভিশন জগতে কাজ করার আগেই অভিনেতা কিছু সিনেমাতেও কাজ করেছিলেন। “বাজিগর” এবং “মেইনে পেয়ার কিয়া” ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। এছাড়াও বেশ কিছু সিনেমাতে কাজ করেছিলেন তিনি।

পরবর্তীকালে অভিনেতা পদার্পণ করেন হিন্দি ধারাবাহিক জগতে। “শক্তিমান” ধারাবাহিকে অভিনেতাকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। পরবর্তীকালে সেই চরিত্রটিও বেশ খানিকটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন দর্শক মহলে। অভিনেতা এতই ট্যালেন্টেড ছিলেন যে তিনি শুধু একজন অভিনেতা, একজন হাস্যকৌতুক শিল্পী ছিলেন না। তিনি একাধারে ছিলেন এক মিমিক শিল্পীও। মিমিক শিল্পী হিসেবেও বেশ কিছু কাজ করেছিলেন তিনি। আবার অভিনেতার কাজের এই অবতারের জন্য তাঁকে বিশেষ ডাকনামও দেওয়া হয়েছিল।

মিমিক শিল্পী হিসেবে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন যখন অমিতাভ বচ্চনের মিমিক করেছিলেন। নিজে একজন খুব বড় মাপের অমিতাভ বচ্চনের ফ্যান। সেই মতোই অভিনেতা চেষ্টা করতেন আমি তা বচ্চনের মিমিক্রি করতে। তাঁর করা অমিতাভ বচ্চনের মিমিকের জন্য বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি তাঁর একটি বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছিল। বলাই বাহুল্য দেশ-বিদেশ সর্বত্রই ছড়িয়েছিল এই হাস্যকৌতুক শিল্পীর ট্যালেন্টের সামর্থ্য। শুধু দেশে নয় বিদেশেও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেছিলেন এই শিল্পী। জানা যায় গোটা ভারতের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া হাস্যকৌতুক শিল্পী ছিলেন রাজু। শুধু তাই নয় এই শিল্পী ছিলেন উত্তর প্রদেশের ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। এত বড় পদের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। দীর্ঘ দিন সাফল্যের সাথে এই শিল্পী সেই পদের দায়িত্ব শিল্পী।

Related Articles

Back to top button