মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে আমিরের ‘গজনী’ ছবির অফার ফিরিয়েছিলেন সুপারস্টার মহেশ বাবু

দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে অভিনেতা মহেশ বাবুর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অভিনয়ের পাশাপাশি তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযোজক হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছেন এই অভিনেতা। তার সুঠাম চেহারা ও বর্ণের লালিত্যে মুগ্ধ হয়েই অনেক দর্শক সাউথের সিনেমার প্রতি আগ্রহী হতে শুরু করেছেন। অনেকেই তাকে বলিউড মুভিতে দেখতে আগ্রহী। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো এটাই যে বর্তমানে যেখানে বলিউডের সাথে সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একত্রিত হয়ে কাজ করছে সেখানে তেলেগু এই সুপারস্টারকে আজ অবধি কোনো বলিউড মুভিতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। কী কারণে তাকে আজ অবধি কোনো বলিউড মুভিতে দেখা যায়নি, তা জানলে অবাক হতে হয়!
আরও পড়ুন: ‘বলিউডে কম টাকায় কাজ করেন’, এই অভিযোগের বিরুদ্ধে অবশেষে মুখ খুললেন টোটা
চিরকালই স্রোতের বাইরে হাঁটতে পছন্দ করেন অভিনেতা মহেশ ঘাট্টামানেনি। এমন নয় যে তিনি বলিউডে কোন ছবির অফার কখনো পাননি, তিনি বহুবার বলিউড থেকে অফার পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি সেই অফার নেন নি। তিনি স্বেচ্ছায় বলিউড সিনেমার অফার ছেড়ে দিয়েছেন।
সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে বলিউডের কোন বিরোধ নেই। বর্তমানে এই দুই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি মিলেমিশে কাজ করছে, বলিউডের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ফ্যামিলি ম্যানের সামান্তা প্রভুই এর অন্যতম উদাহরণ। এছাড়া এস এস রাজমৌলি পরিচালিত আর আর আর সিনেমায় আলিয়া ভাট ও অজয় দেবগনের অভিনয়ের কথাও বলা যেতে পারে, আবার কেজি এফ চ্যাপ্টার ২ তে সঞ্জয় দত্ত ও রবিনা টন্ডনের একসাথে কাজ করার কথাও বলা চলে- সব মিলিয়ে মিলেমিশে রয়েছে এই দুই ইন্ডাস্ট্রি তা সত্ত্বেও মহেশ বাবু বলিউডের একাধিক সিনেমায় কাজ করার সুযোগ ছেড়েছেন স্বেচ্ছায়।
আরও পড়ুন: সুদীপের থেকে ২৪ বছরের ছোট পৃথা, ডিভোর্সি পাত্রের সাথে মেয়ের বিয়ে নিয়ে সিক্রেট ফাঁস করলেন মা!
শোনা যায় বলিউডের ‘গজনী’ সিনেমায় কাজ করার অফারও তিনি ছেড়েছিলেন। এই সিনেমার পরিচালক তার সাথে যোগাযোগ করলে মুখের উপরই সেই প্রস্তাব নাকচ করেন তিনি। কারণ হিসেবে মহেশ জানিয়েছিলেন, অন্য কোন ছবি নয় শুধুমাত্র তেলেগু ভাষার ছবিতেই কাজ করতে চান তিনি।
নিজের এই ইচ্ছা প্রসঙ্গে মহেশ বলেছেন,“ আমার হিন্দি ছবি করার দরকার নেই। আমি শুধু তেলেগু ফিল্ম করতে চাই। আমি চাই আমার তেলেগু ছবি সারাবিশ্ব দেখুক। এই মুহূর্তে এমনটা হচ্ছে। আমি এটাই চেয়েছি।” যেখানে ফিল্মি দুনিয়ার প্রত্যেকেই নিজেদেরকে খ্যাতির চূড়ায় দেখতে চান এবং একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই প্রতিটা মুহূর্তে চলে, সেখানে নিজের মাতৃভাষার প্রতি একনিষ্ঠতা দেখিয়ে মহেশ বাবুর এই ত্যাগী মনোভাব- তার অনুরাগীদের মনে তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বাড়িয়ে দিয়েছে।