গসিপ

একসঙ্গে ৩৫ টি ছবি সাইন করেও চোখেমুখে ছিলনা কোনো অহংকারের ছাপ! বিশ্বাস রেখেছিলেন নিজের অদৃষ্টের ওপর

একটা সময় সিনেমা দুনিয়ায় ঝড়ের অন্যনাম ছিল মিঠুন চক্রবর্তী। যিনি নিজের গুণে একের পর এক ছবি সুপারহিট করে বক্স অফিস কাঁপিয়েছেন। বি টাউন মাতিয়ে রেখেছিলেন এক যুগ ধরে। নিজের অভিনয়ের অসামান্য দক্ষতা নাড়িয়ে দিয়েছিল দর্শক হৃদয়। সাথে ছিল শৈশব থেকে নাচের প্রতি এক অন্যরকম টান , যার ফলে পরবর্তীকালে সিনেমা জগতে হয়ে উঠেছিলেন ডিস্কো ডান্সার।

আরও পড়ুন: আলিয়া-রনবীরের বিয়েতেও আমন্ত্রিতদের জন্য থাকবে চুক্তিপত্রের ব্যবস্থা! ঠিক কি কি বিষয় লেখা থাকবে সেই চুক্তিপত্রে

অভিনয় থেকে শুরু করে নাচের প্রতিভা এত গুণ থাকলেও কখনও তিনি নিজের প্রতিভার কথা বলেননি। এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেই তিনি বারবার সবকিছু ভাগ্যের জন্য বলে দাবি করেছেন। নিজের মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংকারের ছাপ নিয়ে আসেননি তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সেখানেও তিনি একই উত্তর দিয়েছিলেন।

তিনি নিজে একবার বলেছিলেন,তাঁর হাতে একসময় একসাথে ৩৫ খানা ছবির কাজ ছিল। সংখ্যাটা শুনলে যেকোনো মানুষকেই তাজ্জব হয়ে যেতে হয়। একজন অভিনেতার কতোটা প্রতিভা গুণে তাঁর হাতে একসাথে ৩৫ খানা কাজের অফার তিনি পেতে পারেন। কিন্তু সেদিনও নিজের কোনো গুনগান না গেয়ে স্পষ্টভাবে মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, নিজের গুনকে তিনি কোনোভাবেই এর জন্য দায়ী করতে চাননা। উলটে তিনি যা হয়েছে তার জন্য ভাগ্যের জোর না থাকলে সম্ভব নয় বলেই দাবি করেছিলেন।

আরও পড়ুন: কেন ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-র সঙ্গে আইনক্সের এত বিরোধিতা আইনক্সের? – মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পরেও ঠাঁই হলো না বাংলা ছবি, ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-র

বারবার তিনি এইভাবে একাধিক জায়গায় ভাগ্যের বরাতে তাঁর জীবনে এত সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছেন। একটা সময় যখন অমিতাভ বচ্চনের পরেই জায়গাটা মিঠুন চক্রবর্তী কে দেওয়া হতো সেইসময় হেসে জানিয়েছিলেন, সবার ভালোবাসার জোর ছাড়া আর কিছুই নয় এসব। এত সফল হলেও মানুষটার মধ্যে কোনো অহংকারের লেশ মাত্র বা নিজেকে জাহির করার কোনো কিছুই দেখা যায়নি।

তবে কেরিয়ারের শুরুর দিকে সুপারস্টারের ছিলনা এত জনপ্রিয়তা। একটা সময় হাতে কাজ কম থাকত। সিনেমা জগতে পাকাপাকি জায়গা করে নিতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে মিঠুন চক্রবর্তীর। তবে তারপর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ছবির অফার আসতে লেগেছিল। একসাথে ৩৫ টি ছবি সাইন করেছিলেন তিনি। তবে তখনও পর্যন্ত মানুষটার কোথাও এতোটুকুও কোনো অহংকারের ছাপ ছিলনা। নিজের পেশাগত জীবনে কেবল কাজের প্রতি বধ্বপরিকর এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসা নিয়ে তিনি কেরিয়ারে বাজিমাৎ করেছেন।

Related Articles

Back to top button