‘কেকে ওরা প্রচুর পারিশ্রমিক পায়, অভিমান আছে, থাকবে আর থাকা টাই স্বাভাবিক’! আমি নচিকেতা রূপঙ্করের পাশে আছি, জোর গলায় বললেন নচিকেতা

রোমান্টিক গায়ক কেকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় এসেছিলেন নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠান করার জন্য, কিন্তু এর পর কয়েকটি গান গাওয়ার পরেই অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। তারপর হোটেল এবং হোটেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায় নি তাকে। তার এই মৃত্যুতে যখন শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন সকলে তখন ও ঘুরে ফিরে আসছে বাংলার জনপ্রিয় গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর কথা।
আরও পড়ুন: “এত ট্রোলিংয়ে রূপঙ্কর দা যদি কিছু করে বসেন? ক্ষমা করতে পারবেন তো নিজেদের? প্রশ্ন শ্রীলেখার
কেকের লাইভ অনুষ্ঠানে ভক্তদের উচ্ছ্বাস এবং ভক্তদের ভিড় দেখে রূপঙ্কর বলেই ফেলেছিলেন কথাটা। বলেছিলেন মুম্বাই কে নিয়ে এত মাতামাতি করার আগে বাংলার শিল্পীদের দিকে দেখুন, বাংলার কয়েকজন প্রথিতযশা শিল্পীর নাম করে বলেছিলেন তারা প্রত্যেকেই কেকের মতো ভালো গান। কিন্তু ফল হল হিতে বিপরীত। রূপংকরের কথা বোঝার বদলে মানুষ উল্টে তার বিরুদ্ধে ট্রোলিং করতে শুরু করেন। এমনকি ক্রমাগত তার ফোনে এবং মেসেঞ্জারে পাল্টা হুমকি দিতে শুরু করেন। বাধ্য হয়ে রূপঙ্করের পরিবার থানাতে অভিযোগ পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও যাদের হয়ে রূপঙ্কর কথা বলেছেন, তারা কেউই রূপঙ্করের পাশে এসে দাঁড়ান নি। গায়িকা ইমন চক্রবর্তী কে ভালো শিল্পী বলে উল্লেখ করেছিলেন রূপঙ্কর, কিন্তু ইমন রূপঙ্করের বক্তব্য শুনে বিব্রত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ইমন বলেছেন, “কেকে যদি এভাবে নাও চলে যেতেন তাহলেও আমি রূপঙ্করদার বক্তব্যে এতটাই বিব্রত হতাম।”
নচিকেতা গায়ক রূপঙ্করের বক্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন এবার। তিনি বলেছেন, “একজন বাঙালি শিল্পী তার অভিমানের জায়গা থেকে একটা কথা বললো। আর আমরা সেটাকে ধরতেই পারলাম না। অন্য ব্যাখ্যা করছি!” একই সাথে তিনি এও বলেছেন যে, রাজার মতো মৃত্যু হয়েছে কেকের। যে কোনো শিল্পী এমন মৃত্যু চান। শিল্পীরা জনসমুদ্রে মিশে যেতে চায়। ভিড়ের চাপে মরে যেতে চাই। ওখানেই তো শিল্পীর সার্থকতা। শ্রোতাদের ভিড়ে একজন শিল্পী মিশে গিয়ে জীবনের শেষ গান শোনাচ্ছেন এটাই শিল্পীর স্বপ্ন।
নচিকেতা আরো বলেছেন যে, গত 30 বছর ধরে এই জনসমুদ্র মিশে গিয়েছেন তিনিও তবে তার দুর্ভাগ্য যে কেকের মতো এরকম মৃত্যু তার হয়নি। বলিউড গায়কের মৃত্যুতে তিনি যেমন মর্মাহত তেমনি বাঙালিরা যে তাকে এতোটা ভালবাসেন সেটা দেখেও তার ভালো লাগছে। রূপঙ্করের বক্তব্যকে বোঝাতে গিয়ে নচিকেতা বলেছেন কেকে-কে অপমান করবার জন্য নয় বরং বাঙালি সংস্কৃতির কথা বলতে চেয়েছিলেন রূপঙ্কর, নচিকেতার কথায় “বাঙালিকে সারা ভারত শোনে শুধু বাঙালি সেটা বুঝতে পারে না। আর সেই কথাটাই রূপঙ্কর বলতে চেয়েছিল।”
নচিকেতা আরো বলেছেন যে যাদের হয়ে রূপঙ্কর কথাটি বললেন তারাই তার পাশে নেই দেখে অবাক লাগছে। নচিকেতার কথায়,“রাঘব,ইমনদের তো ওর পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিলো। যা একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে তাতে রূপঙ্করের কোন দোষ নেই। হ্যাঁ আমি নচিকেতা বলছি। আমি রূপঙ্করের পাশে আছি।”