গসিপ

একসময় অভাবের জন্য চা বিক্রি করতে হয়েছে প্রসেনজিৎ আর পল্লবীকে! ১৩ বছরে বিয়ে হওয়া পল্লবীকে ট্যাক্সি পর্যন্ত চালাতে হয়েছে রোজগারের তাগিদে!

প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি লড়াই থাকে, লড়াইয়ের গল্পটা হয়তো একেকজনের কাছে একেক রকম, কিন্তু লড়াই করেই প্রত্যেককে জীবনে বড় হতে হয়। খুব কম মানুষই থাকেন যারা কোন লড়াই ছাড়াই সফলতা অর্জন করেন। বলিউডের বিগ বি আমিতাভ বচ্চন, কিং খান শাহরুখ খান থেকে শুরু করে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং তার বোন পল্লবীকেও লড়াই করেই জীবনে সফলতা অর্জন করতে হয়েছে। জীবনের একটা সময় এমনভাবে তারা লড়াই করেছেন, যা শুনলে চমকে উঠতে হয়।

আরও পড়ুন: বেহালার ঐতিহ্যশালী বাড়ি ছেড়ে ৪০ কোটি টাকার নবনির্মিত বাড়িতে থাকবেন সৌরভ! কোন জায়গায় তৈরি হচ্ছে দাদার নতুন বাড়ি?

এখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজেই ইন্ডাস্ট্রি, বিপুল জনপ্রিয়তা তার, দেশে-বিদেশে তার এত নামডাক, এত খ্যাতি ও অনুরাগী ভক্তদের ভিড়! কিন্তু এই মানুষটার জীবনে একদিন প্রবল অর্থকষ্ট গিয়েছে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং তার বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায় মিলে সেই অর্থকষ্টের দিনগুলিতে কত ধরনের কাজ করে নিজেদের অর্থ উপার্জন করেছেন যা জানলে অবাক হতে হয়। প্রবল আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়ে খুব অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল পল্লবীর। মাত্র ১৩ বছরেই বিয়ে হয়ে যায় তার, বিয়ের পরেও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পল্লবী। মায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দাদার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতেন প্রসেনজিৎ আর পল্লবী। পারিবারিক দুর্দিনের মধ্যে পড়ে চা বিক্রি থেকে ট্যাক্সি চালানো সবই করেছেন টলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। সেই সমস্ত দিনের কথা নিজের মুখেই বলেছিলেন অভিনেত্রী।

জি বাংলার জনপ্রিয় টক শো অপুর সংসার এ এসে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সামনে নিজের কঠিন লড়াইয়ের কথা বলেন পল্লবী। তার মায়ের আপন মামাতো ভাইয়ের সাথে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তার। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং পল্লবী, প্রসেনজিতের মা সেইসময় ভেবেছিলেন বিয়ে দিয়ে দিলে শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়েটি পড়াশোনা করতে পারবে, তার আর কোনো রকম অসুবিধা হবে না। সেই কারণেই সাততাড়াতাড়ি মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। শ্বশুরবাড়ি থেকেই পড়াশোনা করতেন পল্লবী, সেখানেই ক্লাসিক্যাল গান শিখতেন তিনি, এরপর ১৫-১৬ বছর বয়সে মা হন তিনি।

আরও পড়ুন: মিমি নুসরতের তুলনায় শ্রাবন্তী বেশ বোকা! বিস্ফোরক মন্তব্য শ্রাবন্তীর প্রানের বন্ধু শুভশ্রী গাঙ্গুলীর

পরিবারে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য পল্লবী একসময় চা বানাতেন আর পল্লবীর দাদা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সেই চা বিক্রি করতেন। মাকে সংসার চালাতে সাহায্য করবার জন্য ভাই বোন মিলে এই কাজ শুরু করেন। মল রোড দমদমের কাছে চা বিক্রি করতেন তারা। তবে সেই কাজ করে কখনো হীনমন্যতায় ভোগেন নি খুদে প্রসেনজিৎ আর পল্লবী, বরং মাকে এইভাবে সাহায্য করার মধ্যে তৃপ্তি খুঁজে পেতেন তারা! মায়ের হাতে টাকাটা তুলে দেওয়ার সময় সবথেকে বেশি আনন্দ হতো তাদের। পল্লবী বলেন,“ওই যে টাকাটা এসেছিলো, তখন মনে হচ্ছিল যেন এটাই আমাদের জীবনের বড় পাওনা।”

কলকাতায় এসে যখন পল্লবীর হাতে সেভাবে কাজ ছিল না, সেই সময় তিনি ট্যাক্সিও চালিয়েছেন। সেই সব দিনের কথা মনে করে অভিনেত্রী বলেন, “সেই সময় কেন এখনো মনে হয় আমি আমার নিজের টার্মসে বেঁচেছি। লড়াই করেছি নিজের জন্য।”

Related Articles

Back to top button