গসিপ

মাধ্যমিকে ৭৮.৫% নম্বর পেয়ে পাশ করা সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন স্যান্ডি সাহা! স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন তিনি! তার শিক্ষাগত যোগ্যতা শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার

মানুষ অনেক সময় ভাবেন যে যারা ইউটিউবার হন তারা সেভাবে আর কোনো দিকে জায়গা করতে না পেরে ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ বেছে নেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে বাঙালি ইউটিউবারদের রেজাল্ট অসাধারণ। অধিকাংশ জনপ্রিয় ইউটিউবার‌ই সাইন্সের স্টুডেন্ট, তবে তারা ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ে নতুনত্ব কিছু করেছেন আর এভাবেই তারা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা ইউটিউবারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা শুনলে চোখ কপালে উঠবে সবার।

আরও পড়ুন: দিন দিন কিয়ারা আডবাণীর থেকেও সুন্দর হয়ে উঠছেন শাহরুখ কন্যা সুহানা! মারকাটারি ফিগারে নেটিজেনদের রাতের ঘুম কাড়লেন শাহরুখ কন্যা, ভাইরাল ছবি

‘বাঁকুড়া মিমস’ এর উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ৮২ শতাংশ নাম্বার পান এরপর ২০১২ তে উচ্চ মাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে ৬৩ শতাংশ নম্বর পান তিনি। এরপর এন এস এইচ এম থেকে স্নাতক পাশ করেন তিনি , তাঁর বিষয় ছিল মাস কমিউনিকেশন। পরবর্তীকালে কর্নাটকের মনিপাল থেকে মাস কমিউনিকেশনে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি। আজ জনপ্রিয় ইউটিউবার তার জীবন সম্পর্কে বলছেন, “প্রথম প্রথম বাড়ির ও আমার দুজনেরই অনিশ্চয়তা ছিলো। মনে হয়েছিল ইউটিউবার হয়ে কী হবে? কিন্তু আস্তে আস্তে মানুষ আমাদের কাজ দেখতে শুরু করলেন। এখনো পর্যন্ত সব ঠিকই চলছে।”

‘ওয়ান্ডার মুন্না’র ইন্দ্রানী বিশ্বাস ও সায়েন্সের ছাত্রী ছিলেন। মাধ্যমিকে ও উচ্চমাধ্যমিকে তিনি যথাক্রমে ৭৫ ও ৬৫ শতাংশ নম্বর ‌‌পেয়ে পাশ করেন। এরপর ইংরেজিতে স্নাতক পাশ করেন তিনি আশুতোষ কলেজ থেকে। আর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করার সাথে সাথে সেখানে সাংবাদিকতা নিয়েও পরেছিলেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রানী বলেন,“ আমি সাইন্স নিয়ে পড়েছিলাম। একটা সময় পার্টটাইম চাকরি করেছিলাম কনটেন্ট রাইটার হিসেবে। সেই কাজের সঙ্গে ইউটিউব করতাম।”

আরও পড়ুন: প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণার পর এবার পর্দায় ফিরছে প্রসেনজিৎ-রচনা জুটি! এভারগ্রীন এই জুটির একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন স্বয়ং বুম্বাদা

জনপ্রিয় ইউটিউবার স্যান্ডি সাহার শিক্ষাগত যোগ্যতা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। মাধ্যমিকে যিনি পেয়েছিলেন ৭৮.৫ শতাংশ নাম্বার, উচ্চমাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৬০% নাম্বার। সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন তিনি। ফিজিওলজি নিয়ে এরপর বিএসসি পাশ করেন। স্নাতকোত্তর করেছিলেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স নিয়ে। একটি সাক্ষাৎকারে স্যান্ডি বলেন, “কলেজে পড়তে পড়তে ইউটিউব করছিলাম তখন থেকেই লোকে আমাকে চিনে গিয়েছিলো। এখনকার ছেলেমেয়েরা এইট-নাইন ক্লাসে পড়তে পড়তেই ভাবে ইউটিউবার হবে। তবে আমি বলবো বেসিক এডুকেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন শুরু করেছিলাম তখন ফেসবুক কিন্তু টাকা দিত না। ফলে আমি কোনদিনও ভাবিনি এটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেব। আমার ভালোলাগার জায়গা থেকে কাজটা করতাম। আস্তে আস্তে আমি ইউটিউবে কাজ করতে শুরু করি, এমএসসি তখনই শেষ করি, তখন লকডাউন চলছিল। সবাইকে একটা কথাই বলবো যাই করো না কেন প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতেই হবে। ওটা কিন্তু খুবই দরকারি বিষয়।”

‘বং গাই’ কিরণ দত্ত আউটস্ট্যান্ডিং রেজাল্ট করেছিলেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি বেশিরভাগ বিষয়ে AA ক্যাটাগরি নম্বর পেয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনিও বেশ ভালোই ছাত্র ছিলেন না। কিরণ দত্ত একজন খুব স্টুডিয়াস এবং ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিলেন। কিরণ দত্ত ও স্যান্ডি সাহার কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন,“যে কোন ফিল্ডে কাজ করো বেসিক এডুকেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কিছু করতে চাইলে পড়তে হয় না এটা ভুল। তবে রেজাল্টের জন্য নিজেকে কম ভাবা, ভেঙে পড়া উচিত না।”

Related Articles

Back to top button