‘অভিষেকের সাথে আমি কী করেছি তা ইতিহাস বলবে! আমি এই বিষয়ে কিছুই বলবো না!’ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলে উঠলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী

অভিষেক চট্টোপাধ্যায় তার মৃত্যুর আগেই বলেছিলেন যে, টলিউডের তখনকার এবং এখনকার এক দাদা ও দিদির কারণে তার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজে গিয়েছে। সেই দাদা-দিদি হলো প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যারা দুই জনে মিলে যৌথভাবে চেষ্টা করে অনেক ছবি থেকে বাদ দিয়ে ছিলেন অভিষেককে। অভিষেকের সাইন করা অনেক ছবি তার হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিলো। এই বক্তব্যের পর ঋতুপর্ণা বলেছিলেন অভিষেক তাকে ভুল বুঝছেন, অন্যদিকে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী একেবারেই নীরব ছিলেন।
কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছেন অভিষেক চ্যাটার্জী। তার মৃত্যুর পর আরও একবার হাইলাইটেড হয়েছে তার ক্যারিয়ারের ধ্বংসের পিছনের কারণগুলো! এই সময় আরও একবার উঠে আসে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নাম। তার সমকালীন নায়কদের কাজের সফলতার ক্ষেত্রে সত্যি কি মূর্তিমান বাধা হয়ে গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী? ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি কি অভিষেককে অনেক ছবি থেকে বাদ দিয়ে ছিলেন? এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি বুম্বাদা।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অভিষেক আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল প্রচুর কাজ করেছি একসঙ্গে। ওর চলে যাওয়া আমার কাছে খুবই দুঃখের। ভাবতেও পারিনি, ভাবতেও চাইওনা। তাপসের চলে যাওয়া একই রকম বেদনার। আমি চাই ওর পরিবার ভালো থাকুক।”
কিন্তু অভিষেকের ক্যারিয়ারের বাধা হয়ে দাঁড়ানোর জন্য যে বারংবার তার নাম হচ্ছে সে নিয়ে কী বলবেন প্রসেনজিৎ? বরাবরের মতো এইবারও কোন বক্তব্য রাখতে চান না তিনি। প্রসেনজিৎ বললেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই নি। ইতিহাস বলে একটা বিষয় আছে, সত্যি গুলো তো আর বদলে যাবে না, যারা হিসেব করার, তারা ঠিক করে নেবে।”
প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী তার ক্যারিয়ারের প্রথম নাটক সমাধানে কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, কমেডি টাইপের চরিত্র করতে তিনি চান কিন্তু অভিনেতার আক্ষেপ যে অভিনেতাকে কেউ কমেডি চরিত্রের জন্য ভাবেন না কেউ কমেডি চরিত্রে ডাকেনওনা। তাকে উল্টে সমস্ত ভারি ভারি শক্ত শক্ত চরিত্র দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর আক্ষেপের বিষয়েও জানান,“আমাকে নিয়ে কমেডি চরিত্র কেউ করে না এটা আমার আক্ষেপ। খুব ভালো কমেডি করতে পারি, কিন্তু কেউ করে না।” একই সাথে অভিনেতা আরও জানিয়েছেন যে, “ভারি ভারি শক্ত চরিত্র দেয়, আমি কৌতুকটা ভাল পারি, আমি ভালবাসি করতে।”