গসিপ

লোকে যা খুশি লেখুক আমরা পড়েই দেখি না! নেট মাধ্যমে বক্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ রাজ শুভশ্রী!

টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক প্রযোজক রাজ ও অভিনেত্রী শুভশ্রীর বিয়ের চার বছর হয়ে গেলো। ২০১৮ র ১১ ই মে তারা বিয়ে করেছিলেন, তারপর দিন দিন তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নত হওয়ার সাথে সাথে তাদের সংসারে এসেছে ছোট্ট ইউভান। বর্তমানে প্রযোজনা ও পরিচালনার সাথে সাথে রাজনীতির আঙিনাতেও পা রেখেছেন রাজ, বিধায়ক তিনি। তাই সংসার, রুপোলি জগতের কাজ ও মানুষের সেবা সব‌ই একসাথে করছেন। ২০২২ এর ১১ ই মে তাদের বিয়ের চতুর্থ বিবাহ বার্ষিকীতে নেট মাধ্যমের কমেন্ট বক্স তাই শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে উঠেছে। অসংখ্য মানুষ তাদের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাদের বৈবাহিক বন্ধন আরও দৃঢ় যাতে হয় সেই কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন: খড়িকে সবার সামনে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিল ঋদ্ধি! নয়া টুইস্ট গাঁটছড়ায়!

রাজ চক্রবর্তী‌কে এইদিন তার দীর্ঘ ‌ দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দেয়,“পিছন ফিরে ঘুরে দেখলে মনে হয়, এই তো সে দিন! কত তাড়াতাড়ি চারটে বছর কেটে গেল। চার বছর আগে এই দিনটিকে ঘিরে কত আয়োজন, হুল্লোড়। আত্মীয় পরিজনের ভিড়। খুব ইচ্ছে, শুভশ্রীকে নিয়ে বর্ধমানের বাওয়ালি রাজবাড়িতে আবার‌ও যাব। আর‌ও একবার সাত পাকে বাঁধা পড়ব আমরা। আর‌ও ৪০ বছর ওর সাথে একসাথে কাটাতে চাই।”

বুধবার বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সে রকম কোনো আয়োজন করেন নি রাজ-শুভশ্রী। তারা আসলে ৩ রা জুন মুক্তি পাওয়া হাবজি গাবজির প্রচারে ব্যস্ত। এই ছবিটি বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের সমস্যার কথা উঠে আসছে। শিশুদের বায়নাক্কা এড়াতে বাবা মারা অনেক সময় তাদের হাতে মোবাইল তুলে দেন আর এই ভাবেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে তারা। কিন্তু মোবাইলের প্রতি এই আসক্তি কি তাদের জন্য ভালো? নাকি মোবাইলে এই আসক্তি নানান রকম বিপদ ডেকে আনে সেই নিয়ে এই গল্প।

আরও পড়ুন: দিদি পুরস্কার পেয়েছে এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে! মমতা দিদির পুরস্কার পাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী কী বললেন জানেন?

গত চার বছর কেমন ছিলো? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ বলেন,“চার বছরের মধ্যে দুই বছর অতিমারিতে বাড়িতে বসা। তার মধ্যেই বাবা চলে গিয়েছেন। শুভশ্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। আমার নির্বাচনে জেতা। নিজেও কোভিডে ভুগেছি। আমার সঙ্গে প্রচারে অংশ নিয়ে আমার স্ত্রীও অতিমারিতে আক্রান্ত। তার মধ্যেই ইউভানের জন্ম। সব মিলিয়ে ভাল মন্দ দুটোই ছিল। সবসময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শুভশ্রী ছিল।”

রাজ ও শুভশ্রী দুজনেই মানুষের উপকার করতে ভালোবাসেন। এই উপকারের জন্য অনেক সময় নানা কথাও শুনতে হয়। নানা মুনির নানা মত শুনতে শুনতে কখনো কি নিজেদের মধ্যে মান-অভিমান হয়েছে? রাজ বললেন,“আমাদের দাম্পত্যে নেট মাধ্যমের কোন জায়গা নেই। যে যার মতো করে লিখেছেন বা বলেছেন। আমরা পড়েই দেখিনি। আমাদের মতো করে সংসার করেছি তাই আবেগ বেড়েছে, নির্ভরতা বেড়েছে। পারস্পরিক টানটাও চার বছরে বেড়ে চার গুণ। এরপরেও কি মান অভিমান আমাদের মন ভাঙাতে পারে?” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহু সময় পরে রাজের ছবি আবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে রাজ উল্লাসিত।

Related Articles

Back to top button