‘নিম্ন মানসিকতার জন্য জাতীয় পুরস্কার পাবেন রূপঙ্কর বাগচী, আপনি শিল্পী ও বাঙালি দুইয়ের লজ্জা!’ রূপঙ্করের মন্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে নিন্দা করলেন মৌপ্রিয়া নন্দী

বলিউডের কে কে – কে নিয়ে বাংলার শিল্পী অনুরাগীদের উল্লাস দেখে বাংলার জনপ্রিয় গায়ক রূপঙ্কর বাগচী বলেছিলেন, “ কে কে সত্যি খুব ভালো গায়ক। কিন্তু ওর লাইভ ভিডিও দেখার পরে উপলব্ধি হলো কে কে জাতীয় স্তরে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বাংলার শিল্পীরা কোন অংশে কম নন। আমি, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, সোমলতা আচার্য্য আমরা সবাই কেকের থেকে ভালো গান গাই।”- এর পাশাপাশি রূপঙ্কর আরো বলেন যে,“who is kk”। এরপর থেকে রূপঙ্কর কে কেন্দ্র করে একের পর এক সমালোচনা ট্রোলিং শুরু হয়ে যায়।
নেটিজেনরা তাকে হিংসুটে, বিদ্বেষপরায়ণ বলতে থাকেন। যদিও এরপর রুপঙ্করের সাফাই ছিলো, তাকে মানুষ ভুল বুঝছেন, তিনি শুধু বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি বলতে চাইছিলেন মুম্বাই কে নিয়ে মাতামাতি করার আগে বাঙালি যেন বাংলার শিল্পীদের তাকিয়ে দেখেন। কিন্তু মানুষ তার বক্তব্যকে ভুল ভেবে নিয়েছে, তিনি আসলে কাউকেই হিংসা করেন না।
তার এই লাইভ ভিডিও করবার কিছুক্ষণ পর যখন কাকতালীয়ভাবে কে কে র মৃত্যু হয় তখনও মানুষজন কেকের মৃত্যু নিয়ে টার্গেট করেন রূপঙ্কর কে। এরপর থেকে গত দুদিন ধরে তাকে নিয়ে ট্রোলিং রীতিমতো বেড়েছে। বর্তমানে রূপঙ্কর বাগচীর কথার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সাংবাদিক মৌপিয়া নন্দীও। এইদিন একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন যে, বলিউডের গায়ক কে কে যদি আজকে বেঁচে থাকতেন, তাহলে রূপঙ্কর বাগচীর পোস্টটি দেখার পর তার কিছু যায় আসতো না।
আরও পড়ুন: “এত ট্রোলিংয়ে রূপঙ্কর দা যদি কিছু করে বসেন? ক্ষমা করতে পারবেন তো নিজেদের? প্রশ্ন শ্রীলেখার
এর পাশাপাশি মৌপ্রিয়া আরো বলেন, কারোর অভিশাপে কারো কখনো মৃত্যু ঘটে না। তবে বাংলার এই জনপ্রিয় গায়ক আসলে নিজের নিম্ন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। বাঙালি নিজের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে আঞ্চলিক সংকীর্ণতার অনেক উপরে উঠে শিল্পীর কদর করে। কিন্তু রূপঙ্কর বাগচী তার মন্তব্যের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিপরীত রুচির পরিচয় দিয়েছেন।