“এসব খবরের কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায় না, এর কারণ এখানে জ্ঞানের পরিচয় দিয়ে কোনো লাভ হয় না! মহানায়ক উত্তম কুমারের জায়গা আজ অবধি কেউ নিতে পারেননি” – সোহম নুসরাতের মহানায়ক পুরস্কার নিয়ে মুখ খুললেন কিংবদন্তি নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

আজ থেকে ঠিক একদিন আগেই গেল ৩ রা সেপ্টেম্বর। বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তম কুমারের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান অসামান্য। ‘ মহানায়ক’ শব্দটা বললে বা শুনলেই ঠিক একটি মানুষের মুখই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আর তিনি হলেন সকলের প্রিয় মহানায়ক উত্তম কুমার। যদিও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য তাঁর নামে পুরস্কার বার করা হয়েছে। সম্প্রতি সেই পুরস্কার পেয়েছেন বর্তমানের জনপ্রিয় দুই অভিনেতা এবং অভিনেত্রী। কিন্তু এটা ঠিক যে বাংলার মননে এবং চিন্তনে মহানায়ক তো একজনই।
কিছু বছর আগেই শুরু হয় মহানায়কের নামে চলচ্চিত্র জগতের এই সম্মান। চলতি বছরে টলিউডের একজন অভিনেতা একজন অভিনেত্রী পেয়েছেন এই মহানায়ক সম্মান। সোহম চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহানকে সম্মানিত করা হয় এই মহানায়ক সম্মান দিয়ে। যদিও দর্শক এই বিষয়টিকে একদমই পছন্দ করেননি। সেসব বাদ দিলেও মহানায়কের নামে যে এত বড় সম্মান দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে জানতেন না মহানায়কেরই এক নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এই নামটিও টলিউডে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মহানায়কের নায়িকা তথা স্বর্ণযুগের এই বিশিষ্ট অভিনেত্রী বেশ কিছু কাজ করেছেন মহানায়ক এর বিপরীতে। উত্তমের বেশ কাছের মানুষ ছিলেন সাবিত্রী। যদিও টলিপাড়ায় এমন গুঞ্জনার উঠেছে যে সাবিত্রী দেবীর কোন সম্বন্ধ আসলে উত্তম কুমার সেগুলি ভেঙে দিতেন। আবার উল্টোদিকে উত্তমকে ভালোবেসে সারা জীবন অবিবাহিত থেকে গেলেন সাবিত্রী। এতটাই গাঢ় বন্ধুত্ব ছিল এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীর। তবে টলিউডের মহানায়ক সম্মান প্রদানের বিষয়ে কিছুই জানেন না অভিনেত্রী। কিছুদিন আগে এক সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে অভিনেত্রীকে জানানো হয় এই সম্মানের বিষয়। হঠাৎ করে এই খবর শুনে একেবারে আকাশ থেকে পড়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয় এর পরে অভিনেত্রীকে সোহম ও নুসরাতের মহানায়ক সম্মান পাওয়ার বিষয়ও জানানো হয়। সেটা শুনেও একেবারে হতভম্ব হয়ে গেছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “এসব খবরের কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায় না। এর কারণ এখানে জ্ঞানের পরিচয় দিয়ে কোনো লাভ হয় না। মহানায়ক উত্তম কুমারের জায়গা আজ অবধি কেউ নিতে পারেননি। অবশ্য আমার অবর্তমানে কি হবে সেটা বলতে পারবো না”।
এদিকে আমরা সকলেই জানি বাংলা সিনেমার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বর্তমানে নেটপাড়ায় ‘বাংলা ছবিকে বাঁচান, বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান’ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “উত্তম কুমারের সময়ে এসব কোনোদিনও এমন কিছু বলতে লাগেনি। দর্শকেরা পাশে ছিলেন সিনেমা এমনিই হিট হত। এখন অনেক নতুন কিছু দেখা যাচ্ছে ইন্ডাট্রিতে”।