গসিপ

উত্তম কুমার তার চোখের দিকে তাকালেই ডায়লগ ভুলে যেতেন – সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় নিজে মুখে স্বীকার করে নেন একথা

টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বছরের পর বছর ধরে নিজের প্রতিভার গুণে উজ্জ্বল থাকা এক ব্যক্তিত্বের নাম সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। কয়েক দশক অতিবাহিত হয়ে গেলেও যিনি এখনও পর্যন্ত এতটুকুও অভিনয় জগতে নিজের গরিমা হারিয়ে ফেলেননি। বাংলা সিনেমার একেবারে অনেক সূচনাকাল থেকেই তিনি সিনেমা জগতের বহু ওঠা পড়ার সাক্ষী হয়ে রয়েছেন। তবে দীর্ঘ বছর অতিক্রান্ত হলেও তিনি চির কুমারী থেকে গেছেন তবে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে উত্তম কুমারের সাথে সম্পর্কের নিয়ে বহু রটনা হয়েছে তবে সেই রটনার সম্পূর্ণতা তিনি অস্বীকার করেননি।

আরও পড়ুন: টিআরপি তালিকায় বাংলা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল! পাঁচ নম্বরে থাকা ‘গৌরী এলো’ সোজা উঠে এসেছে দুই নম্বরে!

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় কে অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন তাঁর না বিয়ে করার কারণ কি। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তিনি জীবনে বারবার বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়েছেন ফলে তাঁর আর বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। তবে অভিনেত্রী খুব মজা করতে ভালোবাসেন , মজার ছলে বলে ওঠেন এখনও কেউ ফাঁকা থাকলে তিনি রাজি আছেন সাত পাঁকে ঘুরতে।

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এর জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের কুমিল্লাতে। তাঁরা দশ জন বোন ছিলেন। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর জীবনে ইলেকট্রিকের আলো দেখার সুযোগ পাননি। তাই তাঁর ইচ্ছে ছিল কলকাতা শহরকে দেখার জন্য। কিন্তু পরবর্তীকালে কলকাতাকে সামনে দেখে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন জীবন সংগ্রাম কত কঠিন ছিল। একটা সময় কলকাতায় এসে তাঁর বিছানার জায়গায় ইঁটের ওপরে শুয়ে রাত কাটাতে হয়েছিল।

তবে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিভাবে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছিলেন, তবে তিনি যখন স্কুলে যেতেন, ভানু ব্যানার্জি প্রথমে নিজেই তাঁকে ডাকেন তারপর তাঁর হাত ধরে প্রথম অভিনয় জগতে প্রবেশ ঘটেছিল সাবিত্রীর। প্রথমে একটি নাটকের মাধ্যমে তাঁর সূচনা হলেও তারপর জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে শুরু হয়। প্রথমে অভিনয় করে ২০ টাকা উপার্জন করলেও সেই টাকা থেকে দালালরা ১০ টাকা চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। তবে তার মধ্যে এক রাতেই ছড়িয়ে পড়েছিল সেই নাটক।

আরও পড়ুন: “রুহ বাবা আসছে মঞ্জুলিকা সাবধান! ” প্রকাশ্যে এলো ‘ভুল ভুলাইয়া ২’র টিজার

পাশের বাড়ি নামের একটি ছবির মাধ্যমে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া চেয়ে একসাথে কুড়ি পঁচিশ জন থাকতেন তাঁরা। পরবর্তীকালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাসের অবলম্বনে তাঁকে নেওয়ার জন্য প্রথমে রাজী না হলেও তিনি খুব অনুরোধ করে রাজি করিয়েছিলেন তবে সেই ছবি সুপারহিট হয়েছিল। উত্তম কুমারের সম্পর্কে তিনি নিজেই প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহানায়ক তাঁর চোখের দিকে তাকালে স্ক্রিপ্ট ভুলে যেতেন তিনি, তাই শটের আগে তিনি তাকাতেন না।

নিজের জীবনের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ফেললেন জীবনে কোনো কাছের মনের মানুষ ছাড়াই। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এত জন বোন তাঁকে কখনও সেই শূন্যস্থান পূরণ বুঝতে দেননি। তবে অভিনেত্রীর ছোট বোন মারা যাওয়ার পর তিনি ভীষণ একা হয়ে গিয়েছিলেন। তবে তিনি দিব্যি বর্তমানে সুখে আছেন জীবনে আনন্দকে কখনও উপভোগ করতে ভুলে যাননি।

Related Articles

Back to top button