সদাশিব আমরাপুরকরকে বলিউডের ‘তাতিয়া ‘নামে ডাকা হতো, বিখ্যাত খলনায়ক হলেও জীবনের শেষভাগে যথাযথ সম্মান পাননি তিনি

একসময় আশি – নব্বই এর দশকে বলিউডে কিছু অভিনেতাদের একছত্র আধিপত্য ছিল। যাঁরা সেইসময় বলিউডকে বহু কিছু দিয়ে গিয়েছেন নিজেদের কাজের মাধ্যমে। অভিনয় দিয়ে মন জিতেছেন দর্শকদের একসময় বিনোদন দিয়েছেন। সেইসব অভিনেতা দের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য হলেন, সদাশিব আমরাপুরকর। আশি এবং নব্বই দুই দশক যদি একবার আমরা ফিরে দেখি তাহলে দেখতে পাবো তিনি একজন দক্ষ অভিনেতা ছিলেন দুই দশক যাবত। তাঁর আধিপত্য বিস্তার কেবল হিন্দি ছবিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি তিনি সাথে সাথে মারাঠি ছবিতেও কাজ করেছেন। মারাঠি ছবিতে কাজের মাধ্যমে বহু জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি।
অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সবক্ষেত্রে মন জিতে নিয়েছেন দর্শকদের। সব রকম চরিত্রে অভিনয় করার সমান দক্ষতা ছিল তাঁর। তাঁর অভিনয় গুণের কারণে বলিউড জগতে একটি বিশেষ নামে তাঁকে ডাকা হয়। সদাশিব আমরাপুরকরকে বলিউড জগতে, ‘ তাতিয়া ‘ নামে ডাকা হতো। তিনি দুই দশক ধরে একের পর এক হিট ছবিতে কাজ করেছেন। অভিনয় জীবনের শুরু হয়েছিল অভিনেতার স্কুল জীবন থেকেই। যদিও তাঁর আগে তিনি নানা স্টেজ শো তে অংশ নিতেন। মারাঠি মঞ্চ নাটক হ্যান্ডস আপ এ তিনি অংশ নিয়েছিলেন। তারপরেই তাঁর হিন্দি ছবির জগতে প্রবেশ ঘটেছিল।
গোবিন্দ নিহালানির হ্যান্ডস আপ নাটকে সদাশিবের অভিনয় তিনি খুব পছন্দ করেছিলেন। তারপরেই তিনি অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে ১৯৮৩ সালে তাঁর ছবি ‘অর্ধ সত্য ‘ ছবিতে প্রথম অভিনয় করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এই ছবিতে তিনি ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তবে প্রথম ছবি দিয়েই তিনি বাজিমাৎ করে ফেলেছিলেন।দর্শকরা খুব পছন্দ করেছিল ছবিতে সদাশিবের অভিনয়। তারপর সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জন্য পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
সদাশিবের চলচ্চিত্র জগতের সফর ছিল খুব দারুন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে রিলিজ হওয়া ছবি, ‘বোম্বে টকিজ ‘এ। দর্শক তাঁর অভিনয় খুব পছন্দ করেছিলেন। যদিও পরবর্তী সময় আর তাঁকে দেখা যায়নি অভিনয়ে। অবশেষে ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গমন করেন। সারা জীবন ধরে ছবির মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করলেও তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত তাঁর প্রাপ্য সম্মান না পেয়েই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন।