সলমনের কাছে একসময় পয়সা ছিল না জিন্স পার্স কেনার! অর্থ সংকট বুঝে উপহার দিয়েছিলেন সুনীল শেট্টি

প্রদীপের তলাতে অন্ধকার থাকেই, কিন্তু সবাই প্রদীপের আলোটাই দেখে অন্ধকারটা কেউ দেখেনা। ঠিক তেমনিভাবে যখন কোন মানুষ নাম করে যায় তখন তার সাফল্য টা তার খ্যাতি তার যশ সবাই দেখে, কিন্তু সেই জায়গায় পৌঁছানোর জন্য তাকে কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়েছিল তা কেউ দেখেনা! কেউই রাতারাতি স্টার বা তারকা হয়না প্রত্যেকটা মানুষকেই যথেষ্ট পরিমাণে পরিশ্রম করে তারপর সেই জায়গায় পৌঁছতে হয়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল বলিউডের ভাইজান এর ক্ষেত্রে। আজ দেশে-বিদেশে তার এত নাম, এত জৌলুস, কিন্তু এক সময় চরম দুর্দিন গেছে তার, যে সময় তার হাতে টাকা পয়সা ছিল না।
সেলিম খানের ছেলে হয়েও তাকে লড়াই করতে হয়েছিল বলিউডে। সে সময় বলিউডে নেপোটিজম বা স্টার কিড হিসেবে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া এই ব্যাপারগুলি ছিলনা। তাই বলিউডে নিজের জায়গা তাকে নিজেকেই শক্ত করতে হয়েছে বলে জানান সালমান। সম্প্রতি আবুধাবিতে আছেন সালমান খান সেখানে ২২ তম আইফা অ্যাওয়ার্ড সঞ্চালনা করছেন তিনি। এই সঞ্চালনা করতে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের স্ট্রাগলের কথা বলেন তিনি। এই কথা বলতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে বলিউডের ভাইজানের। আজ যার এত নামডাক একসময় তার পকেটে একটা টাকাও ছিল না। সেই সময় তার ফিল্মের ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য প্রযোজক বনি কাপুরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
সলমন বলেন,“ উনি আমাকে সারাজীবন ধরে সাহায্য করে গিয়েছেন। বনি কাপুর আমাকে ‘ওয়ান্টেড’ ছবিটি দিয়েছিলেন তারপর উনি আমাকে আর একটি ছবি দেন ‘নো এন্ট্রি’। সেটা দিয়ে অনিল কাপুরও কামবাক করেন। বনি জি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। যার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবো।”
এর পাশাপাশি সুনীল শেট্টি, পরিচালক রমেশ তুরানির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সালমান। একেবারে শুরুর সময় তার কাছে টাকা থাকতো না। সেই সময় সুনীল শেট্টির মিসচিফ নামে দোকানে একটি জিন্স, বুট আর পার্স খুব পছন্দ হয়েছিল তার যদিও কেনার সামর্থ ছিলনা তার। সুনীল শেট্টি সেকথা বুঝেছিলেন নিজে থেকেই তা উপহার দিয়েছিলেন তিনি সলমনকে। এ কথা আজও মনে রেখেছেন সালমান। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিটি হিট হলেও এই ছবি হিট হওয়ার পরেও ছয় মাস কোন কাজ পাননি সলমন। সেই সময় রমেশ তুরানি তাকে ‘পাত্থর কি ফুল’ ছবিতে কাস্ট করান, তাই তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকবেন ভাইজান।