স্যান্ডি সাহা নতুন প্রবেশ করেছে অভিনয় জগতে, ঢুকতে না ঢুকতেই সেটে তুমুল ঝগড়া হয়ে গেলো অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে! বন্ধ হয় শ্যুট

‘বসন্ত বিলাস মেসবাড়ি’-নামে সদ্য শুরু হওয়া একটি ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ফিগার তথা ইউটিউবার স্যান্ডি সাহাকে। প্রথম রোডিজ নামের একটি শো এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করে স্যান্ডি। তারপর ফেসবুক এবং ইউটিউবে নানান মজার কন্টেন্ট এর কারণে আরও বেশি মানুষ চিনতে শুরু করে স্যান্ডি কে। তবে কিছুদিন আগে সবাইকে চমকে দিয়ে স্যান্ডি সাহা জানিয়েছিল, সে এবার ছোট পর্দায় প্রবেশ করতে চলেছে। অনুরাগীরা অপেক্ষায় ছিল কবে দেখা যাবে তাকে। তবে সবেমাত্র ধারাবাহিক শুরু হতে না হতেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন স্যান্ডি সাহা তাও আবার সহ অভিনেত্রীর সাথে। শুটিং ফ্লোরের মধ্যে ঝগড়ায় জড়িয়েছেন এমন তথ্য জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন মনুবাবু, মুক্তি পেতে চলেছে শেষ ছবি ‘ভটভটি’
ঝগড়া এতটাই গুরুতর হয়ে গিয়েছিল যে তার জন্য ধারাবাহিকের শুটিং কিছু সময় বন্ধ রাখতে হয়েছিল। শ্রীতমা ভট্টাচার্যের সাথে ঝগড়া বেঁধেছিল স্যান্ডির। পর্দায় একসাথে দুজন ভাই বোনের চরিত্রে রয়েছে। আর বাস্তব জীবনে এমনিতে দুজনের সম্পর্কের সমীকরণ বেশ ভালো কিন্তু সোমবার দুজনের মধ্যে মন কষাকষি হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সোমবার অভিনেত্রী শ্রীতমা ঠিকঠাক সময়ে পৌছে গিয়েছিলেন শুটিং ফ্লোরে। দেরি করে পৌঁছেছিলেন স্যান্ডি সাহা। তারপরও সবকিছু স্বাভাবিক চলছিল এমনকি শুটিং ফ্লোরে দুজনে একসাথে রিল ভিডিও বানিয়েছিল। শ্রীতমা ফ্লোরে গিয়ে স্যান্ডি কে জানতে চায় তার দেরিতে আসার কারণ ঠিক তখনই স্যান্ডি হঠাৎ মজা করতে শুরু করে শ্রীতমাকে নিয়ে। তারপরেই অভিনেত্রী একেবারে রেগেমেগে সেট থেকে বেরিয়ে চলে যান।
শুটিং এর কাজ কিছু সময় বন্ধ রাখতে হয়েছিল দুজনের এই কথা কাটাকাটির জন্য। প্রোডাকশনের তরফ থেকে বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ করলে ফের কাজ শুরু হয়। এই বিষয়ে শ্রীতমা জানিয়েছেন, একসঙ্গে থাকতে গেলে ঝগড়া তো হতেই পারে। তবে ফ্লোরের একটা ডেকরাম থাকে। আমি সেটা মেনটেইন করি। ও তো জানে না, নতুন এসেছে। আর ও একটু ছেলেমানুষ। সারাক্ষণ মজা করছে, ইয়ার্কি মারছে। কিন্তু কাজের জায়গায় তো এটা সবসময় চলে না। ওকে সেটা বুঝতে হবে। নয়তো ভবিষ্যতে কাজ পেতে ওরই সমস্যা হবে।’
অন্যদিকে স্যান্ডি সাহা এই ঝগড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে বলেছেন, সেটে আমার সঙ্গে শ্রীতমার সম্পর্ক ভালো। ও আমার সঙ্গে মজা করে। আমিও করি। আমাকে দিনকয়েক আগে একটা সানগ্লাসও উপহার দিয়েছে। এখানে সিনিয়র জুনিয়ারের কোনও ব্যাপার নেই। অনেকসময় কারও কোনওদিন মুড অফ থাকে। সেটা তো আগে বোঝা যায় না। আমিও ইয়ার্কি মারার আগে ব্যাপারটা বুঝিনি। আর আমার সাথে কেউ রুক্ষ্মভাবে কথা বললে, আমিও সেটাই ফিরিয়ে দেই। যাইহোক আপাতত দুজনের সমস্যা মিটে গিয়ে ফের আগের মত শুরু হয়েছে শুটিং এর কাজ।