গসিপ

বিয়ের পর স্ত্রী ডোনাকে নিয়ে গিয়েছিলেন রাজস্থান, দু রাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি দাদা! আসল কারণ ফাঁস করলেন দাদাগিরির মঞ্চে

সবেতেই তিনি ছক্কা হাঁকান। মাঠ থেকে শুরু করে দাদাগিরির মঞ্চে সঞ্চালনার সমস্ত দায়িত্ব তিনি একেবারে নিখুঁত হাতে সামলে নিতে পারেন। সেই জন্যই তো তিনি মহারাজা নামেই বেশি পরিচিত। কিন্তু এই দাদাই একবার কাবু হয়ে গিয়েছিলেন। ভাবছেন তো দাদাকে কাবু করে এমন শক্তি কার ছিল? কিন্তু একথা দাদা অর্থাৎ সৌরভ গাঙ্গুলি নিজে মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন দাদাগিরির মঞ্চে দাঁড়িয়ে।

আরও পড়ুন: ‘আজি এ দিবসে রবির চড় কেমনে বসিল গালের ‘পর’! – কবিতার লাইনের সাথে একেবারে মিল রেখে চোখ বড়ো বড়ো করলেন মীর!

আমরা সবাই জানি , জি বাংলায় অনুষ্ঠিত একটি বিখ্যাত গেম শো দাদাগিরির সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বহু বছর ধরে এই কাজ দাদা করে চলেছেন। আর সেই মঞ্চেই বিভিন্ন ভক্তদের প্রশ্নে দাদাকে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে অজানা তথ্য নিয়ে বলতে দেখা যায়। বেশ মজার মানুষ তিনি, এর আগেও অনেকবার ডোনা বৌদির প্রসঙ্গ উঠলেই নানা ভাবে মজা ঠাট্টা করতে দেখা গিয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলিকে।

দাদাগিরির মঞ্চে দাঁড়িয়ে এবার এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। বিয়ের পর একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং এর উদ্যেশ্যে প্রথমবার ডোনা কে নিয়ে গিয়েছিলেন রাজস্থানে। আর সেখানে গিয়েও ঘটেছিল অদ্ভুত কাণ্ড! দু রাত পরপর একবারের জন্যও চোখের পাতা এক করতে পারেননি দাদা! দু রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করেছেন তিনি। আসল রহস্যের তথ্য ফাঁস করেছেন তিনি মঞ্চেই। ছিল এক শিহরিত ভূতের ভয়! রাজস্থানের যোধপুরের এক হোটেল, যা আগে কেল্লা ছিল সেখানে থাকার জায়গা হয়েছিল দাদা ও ডোনা বৌদির। বিশাল ওই বাড়িতে ঢুকেই যেনো সৌরভ বুঝতে পেরেছিলেন বাড়ির মধ্যে অন্যরকম কিছুর উপস্থিতি রয়েছে। ঘরের ভেতর যেনো কেউ ঘুরে বেড়াতো এই উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ৬ আঙুল দিয়ে পিয়ানোর সামনে বসে রবীন্দ্র সংগীত ‘তুমি রবে নীরবে’ বাজাচ্ছেন হৃত্বিক রোশন! বিশ্বকবির জন্মদিনে ভাইরাল হলো ভিডিও

সৌরভ জানিয়েছেন, ডোনা ঘুমালেও তিনি ঘুমোতে পারতেন না। এমনকি প্রথম রাতে দুজনেই না ঘুমিয়ে টিভি দেখে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বেরোতেন ভোর চারটায় শুটের জন্য তারপর থেকে ডোনা জেগে বসে থাকতো। সকাল হলেই ঘুমোতে যেত। এইদিন মঞ্চে আরও হাজির ছিলেন অভিনেতা সোহম। যিনি কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের একটি সরকারি বাংলোয় গিয়ে ভুতের অনুভব হয়েছিল। সোহমের কথায়, বাংলোয় যাওয়ার পরেই , গা হাত পা কেমন ভারী হওয়ার অনুভূতি বুঝতে পেরেছিলেন। দাদাগিরির মঞ্চে দাদার এই অভিজ্ঞতার ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Related Articles

Back to top button