নামে মহারাজা হলেও এক সময় কাজ ছিল একেবারে রোমিওর মত! বাবাকে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতে যেতেন ডোনার সাথে। ‘দাদার কীর্তি’ শুনলে অবাক হবেন

“প্রিন্স অফ ক্যালকাটা” কে সেটা হয়তো আমায় আর বলে দিতে হবে না। ক্রিকেটের ২২ গজ কাঁপানো থেকে শুরু করে লর্ডসের মাঠে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমের টি-শার্ট ঘোরানো সবেতেই দাদা বলতে আমরা একজনকে চিনি। আর তিনি হলেন মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী। বাংলার মিষ্টি ছেলের ভুবন ভোলানো হাসিতে আর হাতের ব্যাটের জাদুতে মুগ্ধ ৮ থেকে ৮০ সকলেই। আর তাঁর একমাত্র সহধর্মিনী হলেন ডোনা গাঙ্গুলী।
এই দুজনের প্রেম হয়তো আমরা কমবেশি সকলেই জানি। তাদের প্রেম, বিয়ে, সন্তান এবং এখন তাদের সুখের সংসার। পাশাপাশি দুজনের ক্যারিয়ার তাঁরা চালিয়ে গিয়েছেন সমান তালে। এক চুল এদিক ওদিক হয়নি তাঁদের কাজের জায়গা। তবুও নিজেদের কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে ও তাঁরা জয়ী। তবে তাঁদের জীবনের প্রেম সম্পর্কে আজও অনেকেই জানতে আগ্রহী।
দাদার জীবনের এই গোপন পর্ব সকলের সামনে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর এক বন্ধু। আসলে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাদার বন্ধু অকপটে বলছেন সৌরভের প্রেম কাহিনী। সেই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, মহারাজ তখন আন্ডার ১৯ ক্রিকেট খেলা শেষ করে সবে বাংলার হয়ে খেলতে নেমেছেন। তখন মোহনবাগানের হয়ে ফুটবল খেলতেন দাদা। তাঁর সেই বন্ধুটি তখন খেলতেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। তখন খেলা দেখতে যাওয়ার নাম করে ডোনার সঙ্গে প্রেম করতে যেতেন মহারাজ। যদিও তখন ডোনার সঙ্গে আলাপ পরিচয় সম্ভব হয়েছিল।
দাদা তখন নিজের গাড়ি করে খেলা দেখতে আসতেন। আর তখন ইডেন গার্ডেনের পাশে নিজের গাড়িটি দাঁড় করিয়ে বন্ধুর অন্য একটি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেতেন ডোনাকে নিতে। প্রথমে গাড়ি নিয়ে গিয়ে ডোনাকে গাড়িতে তোলা হতো লরেট থেকে। সেখান থেকে যেতেন পিটের ক্যাটে গিয়ে দুজনের ছোলে কাবাব খেতেন। তবে খুব বেশি সময় পেতেন না তাঁরা। আর সামান্য ঘোরাঘুরি করে তারপর বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে ডোনাকে ছেড়ে দিতে হতো তাঁর বাড়িতে।
আর এদিকে মহারাজের পিতা জানতেন ছেলে সকালে স্কুল এবং বিকেলে প্র্যাকটিস সেরে ইডেনে ইস্টবেঙ্গল এর খেলা দেখতে গেছে। মহারাজার বন্ধু হলপ করে বলেন তিনি সিওর যে সৌরভ একটি ম্যাচও দেখতেন না এমনকি স্কোরও জানতেন না। এই নিয়ে একটি কথা এখন শোনা যায় যে, সৌরভের এই গাড়ি পাল্টানোর কৌশল ডোনা জেনে যাওয়ার পর এখনও যদি মহারাজাকে কোথাও গিয়ে গাড়ি পাল্টাতে হয়, তবে নাকি মহারাজার সহধর্মিনী সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন কেন গাড়ি পাল্টালেন মহারাজা।