বলিউড অভিনেতা এভাবে হাত খুলে দান করেন না, দক্ষিণের এইসব অভিনেতারা সমাজ সেবামূলক কাজের জন্যই বিখ্যাত!

সারাবিশ্ব জুড়ে এখন দক্ষিণী ছবির রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে। আপামর জনতা এখন ডুবে রয়েছে দক্ষিণী ছবিতে। একের পর এক ছবি সুপারহিট বক্স অফিসে। বলিউডকে বহুদিন আগেই ছাপিয়ে গেছে রেকর্ডের দিক দিয়ে। যশের ছবি ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ ১১ তম দিনেই ৬৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য করে ফেলেছে। RRR ছবি সারা বিশ্ব জুড়ে আয় করেছে ১১০০ কোটি টাকা। তবে প্রতিটি ছবিই তামিলের সাথে সাথে হিন্দি ভাষার ক্ষেত্রেও তুমুল ঝড় তুলেছে। বিগত এক বছর ধরে যতগুলি ছবি মুক্তি পেয়েছে সবগুলিই এককথায় সুপারহিট।দক্ষিণের ছবি হিট হওয়ার দরুন , দক্ষিণী নায়কদের এখন চাহিদা তুঙ্গে।
তবে শুধু অভিনয়ের দিকেই যে দক্ষ তাই নয় এইসব অভিনেতারা দান করার দিকেও একেবারে এগিয়ে আছেন সবার থেকে। অনেক বেশি সমাজ সেবা করে থাকেন এইসব অভিনেতারা। সেই কারণে দক্ষিণী ছবি মুক্তি পেলে দক্ষিণের লোকেরা তাদের ছবির পোস্টার দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে থাকেন। বলিউডের সাথে বিচার করতে গেলে একমাত্র অক্ষয় কুমার ছাড়া আর তেমন কোনো অভিনেতা কেই হাত খুলে সাহায্য করতে দেখা যায়না। কিন্তু দক্ষিণের কিছু অভিনেতা সমাজ সেবা করার জন্য অনেক বিখ্যাত। তাদের মধ্যে রয়েছেন –
১) রাম চরণ – গত মাসের ২৫ মার্চ মুক্তি পেয়েছে এসএস রাজামৌলি পরিচালিত রামচরণের ছবি আরআরআর। তিনি দক্ষিণী ছবির ক্ষেত্রে একজন অত্যন্ত বিখ্যাত অভিনেতা। সাথে তিনি একজন ব্যবসায়ী। হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক এয়ারলাইন ট্রু জেটের মালিকানা রয়েছে ওনার। রামচরণ তাঁর বাবার নামে একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট শুরু করেছেন যেখানে রক্তদান ও চক্ষুদানের কাজ করেন তিনি। দরিদ্রদের সবসময় এইভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করেন।
২) সূর্য – তামিল ছবির একজন বিখ্যাত অভিনেতা তিনি। জয় ভীম নামক ছবিটি আগের বছর মুক্তি পেয়েছিল যার জন্য অভিনেতা অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। করোনা পরিস্থিতির সময় যখন মানুষ দুঃখ দুর্দশার মধ্যে ছিল তখন তিনি আড়াইশো মানুষকে সাহায্য করেছিলেন সাথে বহু অর্থ সাহায্য করেছিলেন।
৩) মহেশ বাবু – দক্ষিণী ছবির সালমান খান বলা হয় মহেশ বাবুকে। ২০১৯ সালে তিনি অন্ধ্র হাসপাতাল এবং হিলিং লিটল হার্টস নামে একটি সংস্থার সাথে মিলিত হয়েছিলেন এবং ১০০০ জন শিশুর সার্জারির খরচ বহন করেছিলেন। এমনকি ২০১৬ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে বারিপালম এবং তেলেঙ্গানার সিদ্ধপুরম গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন।
৪) রজনীকান্ত – দেশের সবথেকে বড়ো সুপারস্টার হলেও নিজের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির জন্য তিনি বিখ্যাত। দক্ষিণের মানুষেরা তাঁকে ভগবান হিসেবে মেনে নেন। নিজের রোজগারের প্রায় অর্ধেক টাকা দান করে থাকেন।