গসিপ

‘ইন্ডাস্ট্রির ‘দিদি’র সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর লোকে ভুলেই গেলো অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে’! এবার মিঠু দা সম্পর্কে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র

প্রিয় মিঠু দা অর্থাৎ বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন উজ্জ্বল তারকা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় যাঁর মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে টলি ইন্ডাস্ট্রি বেশ সরগরম রয়েছে। তারপরেই একের পর এক তির্যক মন্তব্য উঠে এসেছে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নামে। কোনো কোনো অভিনেতা অভিনেত্রীরা একেবারে সরাসরি অভিষেকের সিনেমা জগৎ থেকে হারিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তাঁদের দায়ী করেছেন আবার কেউ কেউ নাম না করেই মন্তব্য করেছেন। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল শ্রীলেখা মিত্রর।

আরও পড়ুন: ফের বলি পাড়ায় হেভিওয়েট বিয়ের গুঞ্জন! সূত্রের খবর বলছে আগামী ১৪ এপ্রিল রণবীর-আলিয়া সাত পাঁকে বাঁধা পড়তে চলেছেন

অনেকের অভিষেক চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে বিভিন্ন লেখনী দেখে তিনিও লিখতে বসেছেন তাঁর প্রিয় মিঠু দাকে নিয়ে। তিনি মিঠু দার প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করে লিখেছেন,বেঁচে থাকা অবস্থায় মানুষটা সেই যোগ্য মর্যাদা পেল না কিন্তু মারা যাওয়ার পর অনেকেই নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাঁর কথা লিখতে বসেছেন। বাংলা সিনেমা জগৎ যে গোপন সত্যি কথা এতদিন টলিউডের অন্দরে অপ্রকাশিত রেখে দিয়েছিল সেই সত্যি গুলোই যেনো অভিষেকের প্রয়াণের পর বড্ড বেশি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তাই অভিনেত্রীর নিজেরও মনে হয়েছে এই সম্পর্কে কিছু বাইরে নিয়ে আসার জন্য।

অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এর সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, তিনি বড্ড খোলামেলা স্বভাবের মানুষ ছিলেন, একদম রাখঢাক না রেখে তিনি সত্যিটা সামনে আনতেই বেশি পছন্দ করতেন। জীবিত থাকা অবস্থায়ই তিনি ইন্ডাস্ট্রির বহু জনের মুখোশ সামনে এনেছিলেন সাহসের সাথে। দাদা, ‘দিদি’ নাম করে শ্রীলেখা ইন্ডাস্ট্রির দুজন অভিনেতা অভিনেত্রীকে বোঝাতে চেয়েছেন যাঁদের সম্পর্কে মুখ খোলা যেনো বারণ ছিল। তারপরেই অভিনেত্রী অভিষেকের স্ত্রীর প্রতি সহমর্মী হয়ে ব্যক্ত করেন, সদ্য স্বামীহারা একজন স্ত্রীর কষ্ট যে কতটা দুর্বিষহ হতে পারে তার সাথে সাথে আবার এই সমস্ত গুজবের সামনা করতে হচ্ছে সংযুক্তা কে।

নিজের সম্পর্কে তিনি বলেছেন ইন্ডাস্ট্রির এই দাদা , দিদির সম্পর্কে মুখ খুলতে সবাই ভয় পেলেও তিনিও একসময় খুলেছিলেন যখন সিনেমার জগতের সবাই তাঁকে এক বাক্যে সাহসী বলেছিল। তিনিও একসময় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে সবার মধ্যে হয়তো এই নিশ্চুপ থাকার অবসান ঘটবে। তবে তিনি সময়ের সাথে সাথে কর্মফলের ওপরে বিশ্বাস করেন তাই তিনি আশা রাখেন, যাঁরা খারাপ করেছে তাঁরা ঠিক শাস্তি পাবেন একদিন।

তারপরেই তিনি উল্লেখ করেন, দাদা , দিদি রা প্রথম ছবি হিট করার পড়েই ক্ষমতা দখল করতে শুরু করে দেন। তাঁদের ক্ষমতার দেখনদারি শুরু হয় তারপর থেকেই। তিনি নিজেও বারবার কাদের কথা বলছেন নাম নেননি কারণ তিনি বারবার চাননি নাম বলতে। সমস্ত প্রভাবশালী মুখ যাঁদের মুখ থেকে বারবার শোনা যায়, “আমরা ইন্ডাস্ট্রির মুখ, আমরাই বাংলা ছবিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি, হাল ধরেছি। ” তাঁদের শ্রীলেখা মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোনো একজনও বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেননি। প্রযোজক টাকা দিয়েছেন তাই সবাই কাজ করেছে।

আরও পড়ুন: “আমার দেশ তথা দেশবাসীদের এহেন চরম পরিস্থিতিতে দেখে একজন শ্রীলঙ্কান হিসেবে খুব কষ্ট হচ্ছে।” – শ্রীলঙ্কান সুন্দরী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এর আবেগঘন পোস্ট নিজের দেশের জন্য

ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়া নির্ভর করে, এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আবার সেই দিদির প্রসঙ্গ নিয়ে এসে বলেছেন, দিদির সাথে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে বহু ছবি হারাতে হয়েছিল। দিদির জীবনে দাদার প্রবেশের পর থেকেই দাদার সমস্ত ছবিতে দিদিকে চাইই চাই একেবারে। এমনকি এই সম্পর্কের দরুন তাঁর নিজের একটি ছবি হিট হওয়ার পরে তাঁকে আর ডাকা হয়নি কাজের জন্য।

ইন্ডাস্ট্রির এই দাদা, দিদি দের ব্যাপার স্যপার দেখেই তিনি উপলব্ধি করেছেন মানুষ কতোটা স্বার্থ কেন্দ্রিক হতে পারে। তারপরেই তিনি একেবারে সরাসরি আক্রমণ করেছেন, একজনের বাড়িতে খাওয়ার না পৌঁছলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ জানাতে শুরু করেন আর অন্যজন দেরিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেও বিমান তাঁর জন্য অপেক্ষায় থাকবে এই চিন্তায় থাকেন। এই বেইমান মানুষেরা মিঠু দা চলে যাওয়ার পর যাঁরা একটু ব্যক্তিগত সান্ত্বনা টুকু দেননি তাঁরা আজ দাবি করেন সাহায্য করেছেন, সেসবই মিথ্যে রটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারপরেই তিনি অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তার কথা গুলো সবাইকে মনে করিয়ে বলেছেন, কর্মফল থেকে কেউ ছাড় পায়না। একটা সময় যে যার খারাপ কাজের শাস্তি সময়ের হিসেবে পেয়ে যাবে।

Related Articles

Back to top button