স্কুলে মারপিট করে নাক ও দাঁত দুটোই ভেঙেছিলেন রান্নাঘরের সুদীপা

জি বাংলার রান্নাঘরের সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জীকে সকলেই একনামে চেনেন। তবে তিনি দেখতে যতই মিষ্টি হোন না কেন, তার স্বভাব কিন্তু মোটেই শান্ত নয়, চিরকালের ডানপিটে তিনি আর নিজের এই ব্যক্তিত্বের কথা তিনি নিজেই অকপটে স্বীকার করেন সর্বসমক্ষে। ‘অপুর সংসার’ নামের একটি রিয়েলিটি শো তে এসে তিনি একবার নিজের মুখেই বলে বসেন, ‘হাত থাকতে মুখ কেনো?’। এখানেই শেষ নয় তার দস্যি স্বভাবের প্রমাণ তার মুখের মধ্যেই রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এইবার ছোটপর্দায় দেখা যাবে স্যান্ডি সাহাকে
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অপুর সংসার’ এ অন্যান্য শিল্পীদের মতই অভিনেতা অম্বরিশ ও সুদীপা চ্যাটার্জি এসেছিলেন তাদের জীবনের অজানা কথা গল্পের ছলে দর্শকদের সাথে শেয়ার করতে। এই আলোচনায় অম্বরিশের প্রেমিক সত্তার কথা উঠে আসে আর একই সাথে নিজের বাবার একটি স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে আক্ষেপ করেন অম্বরিশ। সুদীপা জানান তিনি ডগ লাভার। এমনকি সুদীপার বরের বাড়িতে কুকুর ছিল বলেই নাকি বিয়ে করেছিলেন তিনি! এরপর সুদীপা স্বীকার করেন যে, জি বাংলার রান্নাঘরের দৌলতেই আজ তার এত পরিচিতি। তিনি বলেছেন, যখন অনেক কিছু করেও তিনি কোনো ফ্রেম পান নি,লোকে তাকে চিনতো না, সেই সময় রান্নাঘরের সঞ্চালনার দায়িত্ব নিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আজকের সুদীপাকে তাই সুইজারল্যান্ডের মানুষও চেনেন।
গল্প করতে করতে এবার দুই বন্ধু অর্থাৎ অম্বরিশ ও সুদীপা একে অপরের ভালো ও খারাপ দিক গুলো তুলে ধরেন। এর মাঝে প্রশ্ন ওঠে যে দুজনের স্বভাব শান্ত নাকি ডানপিটে? এই প্রশ্নের উত্তরে সুদীপা যা বলেন তা শুনে দর্শকের হেসে খুন হয়ে যাওয়ার জোগাড়।
আরও পড়ুন: ক্যামেরার সামনে প্রণাম করলেও অফ ক্যামেরায় থাপ্পর মারতো প্রসেনজিৎ, দাবি অনামিকা সাহার
এই প্রশ্নের উত্তরে সুদীপা জানান, তিনি মেয়ে হলেও পাড়ার ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন। স্কুল জীবনে তিনি এতটাই মারকুটে ছিলেন যে মারপিট করতে গিয়ে নিজের সুন্দর টিকালো নাকের সাড়ে সর্বনাশ নিজেই করে ফেলেছিলেন আর এরপর নিজের নাকের এমন অবস্থার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নিজের দাঁত ভেঙে ফেলেছেন। এমনকি তাকে কেউ মোটা বললেও তিনি লোকের দাঁত ভেঙে দিতে তৎপর থাকেন। – সুদীপার এই অজানা স্বভাবের কথা শুনে বিস্মিত হয়েছেন সকলেই। কারণ শান্ত মিষ্টভাষী এই মেয়েটি যে এতখানি ডানপিটে হতে পারে তা সকলের ভাবনার অতীত ছিল।