“বাবা উপস্থিত নেই বলে একা মায়ের সন্তানেরা এভাবেই বছর বছর চেষ্টা করে যাবে? “- মেয়ে অন্বেষাকে স্কুলে ভর্তির প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য অভিনেত্রী তথা সিঙ্গেল মাদার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় – এর

বাংলা সিনেমার জগতে বিতর্কিত হিসেবেই তিনি বরাবর সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এর আর এক নাম বলা যেতে পারে, স্পষ্টবাদী। তিনি আসল সত্যি কে সামনে আনতে খুব একটা দ্বিধাবোধ করেন না। অনায়াসেই সবটা বলে দিতে পারেন। বিয়ে থেকে শুরু করে বিচ্ছেদ, সন্তান , প্রেম সবটাতেই তিনি ভীষণ অকপট। জি বাংলার একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোতে, হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। যেখানে তিনি কিছু জীবনের কঠোর সত্যি প্রকাশ্যে এনেছেন।
সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন, একা হাতে মেয়েকে মানুষ করা ঠিক কতোটা কঠিন? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অভিনেত্রী কিছু রূঢ় বাস্তবকে একেবারে অনায়াসে ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন। একা মা অর্থাৎ সিঙ্গেল মাদার হয়ে মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে ঠিক কি কি সমস্যার মুখে তিনি পড়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি তাঁর মেয়ের স্কুলে ভর্তির সময়টাকে তুলে ধরেছেন। অভিনেত্রীর একমাত্র মেয়ে অন্বেষা যাকে তিনি একা হাতে বড়ো করে তুলেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, প্রতিটি স্কুলের নোটিশ বোর্ডে মা বাবা দুজনকে একসাথে যাওয়ার কথা লেখা থাকতো, যেখানে উনি যেতেন একা মেয়েকে সাথে নিয়ে। এমনকি তিনি সিঙ্গেল মাদার এই হিসেবে বহু নামি দামী স্কুল পর্যন্ত ভর্তি নেয়নি সেই সময়। এমনকি এই অভিজ্ঞতা অভিনেত্রীর একবার দু বার নয় বহুবার। একটা সময় পর থেকে মেয়েকে ভর্তির জন্য তিনি, বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়কে সাথে নিয়ে যেতেন।
সবরকম চেষ্টা করার পরেও স্কুলের অধ্যক্ষের থেকে তাঁকে শুনতে হয়েছে, এই বছর যখন হলোনা, আবার পরের বছর চেষ্টা করবেন! এভাবেই তিনি স্কুলের দরজায় দরজায় মেয়েকে ভর্তির জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, বাবা উপস্থিত নেই বলে একা মায়ের সন্তানেরা এ ভাবেই বছর বছর চেষ্টা করে যাবে?এই কারণের দোহাই দিয়ে বড়ো বড় নামি স্কুল ভর্তি করতে অস্বীকার করেছে একটা সময়ে।
বরাবর নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ভীষণ ‘আনকাট ‘তিনি। শাশ্বত অভিনেত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন বিয়ে নিয়ে, যেখানে কোনো রাখঢাক না রেখেই তিনি একেবারে স্পষ্ট উত্তর জানিয়ে দিয়েছেন, বিয়ে তিনি আর করবেন না। উপরন্তু এও জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত আইনি লড়াই তিনি লড়ে যাচ্ছেন বিচ্ছেদের জন্য। এখনও পর্যন্ত সেই বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। নতুন সঙ্গীর সাথে যদি আবার থাকতে না ভালো লাগে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাই বিয়ের মত আবার আইনি প্যাঁচের মধ্যে তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে চাননা। তবে প্রেম নিয়ে বলেছেন পছন্দের মানুষের সাথে তিনি থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে অভিনেত্রীর কোনো আপত্তি নেই।