রোদগরমে ভারী চেহারার মহিলাদের সুইমস্যুট পরার পরামর্শ দিলেন স্বস্তিকা

দিনকে দিন রোদের দাপট যেন বেড়েই চলেছে। রোদে গরমে ছাতি ফেটে যাওয়ার জোগাড়। এই গরমের মধ্যে ভারী ভারী পোশাক পরা যায় না, পাতলা নরম পোশাকই ভালো। কিন্তু যাদের শরীরটা একটু ভারী, তারা হালকা পাতলা পোশাক পরতে পারেন না। সমাজের বিভিন্ন মানুষের নানা মন্তব্য ও কটাক্ষের কথা ভেবে তাদের মন চাইলেও তারা পছন্দসই পোশাক পরতে পারেন না। এখন লোকে কী ভাববে এই কথা ভাবতে শুরু করলে কখনোই নিজের জীবন যাপনই করা যায় না। নিজের জীবন সবসময় নিজের পছন্দমত কাটানো উচিত- এমনটাই মনে করেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিও।
আরও পড়ুন: ধাক্কা মারলেন কেন? আর ছবি তুলবো না, চলে যান- রুদ্র মূর্তি ধারণ করলেন সাইফকন্যা সারা
একসময় স্বস্তিকা নিজের ভারিক্কি চেহারা নিয়ে বেশ লজ্জিত বোধ করতেন। মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি বেশ কয়েকবছর ফটোশ্যুট করেননি এবং রাম্পে হাঁটেন নি। চেহারা ভারী হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন পোশাক কিনতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। বেশ কয়েক বছর তার এইরকমই ধারনা ছিল। এরপর ২০২০ সালে যখন করোনা মহামারী হয়, তখন মানুষের মৃত্যু, হাহাকার সমস্ত কিছু দেখার পর তার চিন্তাধারায় আমূল পরিবর্তন আসে। রোগা বা মোটা টা ফ্যাক্টর নয়, জীবনে বেঁচে থাকাটাই যে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা তিনি বুঝতে পারেন। এরপর তিনি আর ভারী চেহারা নিয়ে ফটোশ্যুট করতে লজ্জিত হন নি।
স্বস্তিকা বলেছেন, গরমের সময় সচ্ছন্দে অন্যান্যদের মত ভারী চেহারার অধিকারীরাও সুইমস্যুট পরে সাঁতার কাটতে পারেন। দোকানে গিয়ে সকলেই নিজেদের পছন্দের পোশাক কিনুন। প্লাস সাইজের পোশাক আলাদা তাকে রাখাটা একটু হলেও দৃষ্টিকটু। তাই পৃথুলাদের গরমে পছন্দের খোলামেলা পোশাক পরতে বলার পাশাপাশি পোশাক বিপণির কাছেও তার অনুরোধ, প্লাস সাইজের পোশাকের জন্য যেন আলাদা তাক না থাকে। বাকি পোশাকের সাথে যেন প্লাস সাইজের পোশাক রাখা হয় আর ডিজাইনাররাও যেন প্রচারের জন্য নয়, বরং ভালোবেসেই প্লাস সাইজের পোশাক ডিজাইন করেন বলে অনুরোধ করেছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: অক্ষয় কুমারের পর বিমল ইলাইচির বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অজয় দেবগণ
তাই অনেক তো হলো, রুপোলি পর্দার মানুষ হয়েও স্বস্তিকা যদি মোটা হওয়া নিয়ে চিন্তিত না হয়ে নিজেকে সব রকম পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য করতে পারেন, তাহলে অন্যরাও বা লোকের কথা ভেবে নিজেদের জীবন নষ্ট করবেন কেন? লোকে কী ভাববে ভাবা বন্ধ করে নিজের মনের কথা শুনুন। তবেই জীবনে বাঁচতে পারবেন।