কিংবদন্তি গায়ক মান্না দে ইন্ডিয়ান থেকে কন্টিনেন্টাল সব ধরনের রান্না করতে পারতেন! ভীষন ভোজনরসিকও ছিলেন গায়ক

কিংবদন্তি গায়ক মান্না দে প্রয়াণের পরও মানুষের মনের মধ্যে রয়ে গিয়েছেন তিনি, তার অমর সৃষ্টি দ্বারা তার গানের সম্ভারের দ্বারা। তবে তার আসল নাম কিন্তু মান্না দে নয়, তার আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। পরবর্তীতে তিনি অবশ্য মান্না দে রূপেই সকলের কাছে পরিচিত হয়েছিলেন। ১৯১৯ সালের ১ লা মে জন্ম হয়েছিল এই সুরসম্রাটের। আজ তার জন্মদিন, অথচ এই গায়ক সম্পর্কে কতটুকুই বা আমরা জানি? অনেকেই হয়তো জানেন না কিংবদন্তি গায়ক মান্না দে জমিয়ে রান্না করতেন, এমনকি খেতেও খুব ভালোবাসতেন তিনি। চলুন আজ তার জন্মতিথিতে জেনে নেওয়া যাক তার সম্পর্কে কিছু অজানা কথা।
আরও পড়ুন: তারে জমিন পর’-এর সাফল্যের পরেও কোনো কাজ পাননি! অবসাদে ভুগছেন পর্দার’ ঈশান অবস্তি’
বাংলা ও হিন্দির পাশাপাশি মৈথিলী, গুজরাটি, মারাঠি, পাঞ্জাবি, মালায়ালাম প্রভৃতি ভাষাতে গান গেয়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি। ১৯৫৩ সালে ‘দো বিঘা জমি’ তাকে খ্যাতির শীর্ষ স্থানে পৌঁছে দিয়েছিল। এরপর থেকে আর কখনো তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু এই মানুষটি গানের সাথে সাথে খেতেও খুব ভালবাসতেন তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
মানা দে ছিলেন খাঁটি ভোজন রসিক একজন ব্যক্তি। খাবারে তার না ছিল না, বলা যায় সমস্ত খাবারই তিনি ভীষণ তৃপ্তি করে খেতেন। কাজের জন্য তিনি যেখানে যেতেন সেখানকার কুইজিনের স্বাদ নিতে কখনো ভুলতেন না। খেতে যেমন ভালোবাসতেন তেমনি রান্না করতেও ভালোবাসতেন। খাঁটি বাঙালি রান্না থেকে শুরু করে নর্থ সাউথ ইন্ডিয়ান, কন্টিনেন্টাল, চাইনিজ সব ধরনের রান্না করতে পারতেন।
‘কফি হাউজের আড্ডা’ গানের স্বনামধন্য এই গায়ক কুস্তি এবং বক্সিংয়েও পারদর্শী ছিলেন সমানতালে। এমনকি ফুটবল খেলতে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি। শোনা যায় একবার খেলার মাঠে রীতিমতো মারপিটও করেছিলেন।
কেরলের মেয়ে সুলোচনা কুমারনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মান্না দে। তাই ২০১২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সেই স্ত্রী মারা গেলে স্ত্রীর মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি কিংবদন্তি এই গায়ক। শেষ বয়সে রীতিমতো একাকীত্ব এবং মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। ২০১২ সালে তার প্রয়াণ নিঃসন্দেহে সংগীতজগতের কাছে একটি বড় ক্ষতি ছিল। আজও সঙ্গীতপ্রেমীরা তার অভাব প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেন। আসলে তার মতো করে গানকে এত জীবন্ত কেউ করে তুলতে পারিনি। কফি হাউসের আড্ডা গানটি শুনতে শুনতে তাই আমরা আজও ফিরে যাই অতীতের সেই দিনগুলোয়।