গসিপ

অভিনয়, রিয়েলিটি শো ছাড়া মিঠুন চক্রবর্তীর বিপুল আয়ের পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও

টলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলিউডেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গিয়েছেন। এছাড়া ডান্স রিয়েলেটি শো ডান্স বাংলা ডান্সের বেশ কয়েকটি সিজনে এক সময় MG‌ হিসেবে থাকতেন তিনি। চলচ্চিত্র জগতের সাথে সাথে রাজনীতিতেও তিনি একজন বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, এছাড়া নানান রকম সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত এই অভিনেতা। এই অভিনেতা একসময় জীবনে চরম স্ট্রাগল করেছেন, বলিউডে কাজ করার ক্ষেত্রেও তাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, অনেক প্রত্যাখ্যানকে পেরিয়ে এসে তিনি কাজের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রমান করে দিয়েছেন, আজ তিনি বলিউডের ডিসকো ড্যান্সার।

আরও পড়ুন: দাদাগিরির গ্র্যান্ড ফিনালে নাচবেন সৌরভ-ডোনা! প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দিতিপ্রিয়া ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক চমক!

একসময় চরম দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করা এই মানুষটির বর্তমান আয় শুনলে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি তার আয়ের একটি উৎস হল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তার বিলাসবহুল হোটেল। ব্যক্তিগত জীবনে হোটেলের পাশাপাশি অভিনেতার মধ্যে পশুপ্রেম ব্যাপারটাও রয়েছে, কুকুরের প্রতি তার একটা শখ হয়েছে। ৭৬ টা কুকুর রয়েছে তার, এদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করার পাশাপাশি প্রচুর টাকা খরচ করেন তিনি। মুম্বাইতে অভিনেতার দুটি বাংলো রয়েছে তবে মাঝে মধ্যেই তিনি সময় কাটাবার জন্য মুম্বাই ছেড়ে তার উটির হোটেলে চলে আসেন।

ভ্রমণ শহর উটিতে অভিনেতার একটি বিলাসবহুল হোটেল রয়েছে। উটিতে থাকা এই হোটেলটি পাঁচতারা হোটেল। ‌ যা থেকে তার প্রচুর পরিমানে আয় হয়। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মিঠুন চক্রবর্তীর নিজস্ব হোটেল চেন রয়েছে, এছাড়া মোনার্ক গ্রুপ অফ হোটেলের মালিক তিনি। এছাড়া মহীশূর ও দক্ষিণের অনেক শহরে বিলাসবহুল হোটেল রয়েছে তার। এছাড়া মুম্বাই সহ দেশের অনেক শহরেই তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাঘের মাসি ভেবে খোদ বাঘমামাকেই ঘরে নিয়ে যায় খুদে, খেলার সাথী বানায় তাকে! তারপর কী হলো?

উটির বিলাসবহুল হোটেলে ৪ টি বিলাসবহুল সজ্জিত স্যুট, স্বাস্থ্য ফিটনেস সেন্টার ও ইন্ডোর সুইমিং পুল রয়েছে। এই হোটেলে রুম‌ই রয়েছে ৫৯টি। মিঠুনের মোনার্ক সাফারি পার্ক মসনাগুড়িতে ১৬টি বাংলো আছে, ১৪ টি টুইন লফ্ট, ৪টি স্ট্যান্ডার্ড রুম আছে। সেখানে মাল্টিকুইজিন রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার মাঠ ছাড়াও ঘোড়ায় চড়ার সুবিধা রয়েছে এছাড়া জিপে করে জঙ্গল সাফারির সুবিধাও এখানে রয়েছে। হোটেলের এই বিশাল ব্যবসা মিঠুন চক্রবর্তী তার ছেলেদের সাথে পরিচালনা করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রা অনুসারে আড়াইশো কোটি টাকার বেশি।

Related Articles

Back to top button