‘আমি কি দারোয়ান’, জোম্যাটো ফোন করে দরজা খুলতে বলায় রাগলেন রান্নাঘরের সুদীপা! ফের আরও একবার বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হলেন সুদীপা

বর্তমানে ট্রোল খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে সকল মানুষের কাছেই। বিশেষ করে তারকারা বেফাঁস কোন কথাবার্তা বলে ফেললে বা কোন অদ্ভুত পোশাক পড়ে বেরিয়ে পড়লেই তারা ট্রোলের শিকার হন। এমনকি কোন ভালো কাজ করলেও একাংশ নেটিজেন সেটাকে নিয়ে ট্রোল করে বেড়ান। সম্প্রতি সেরকমই বেফাঁস কথাবার্তা বলে ফেলার কারণে ট্রোলের শিকার হলেন জি বাংলার জনপ্রিয় রান্নার রিয়েলিটি শো এর সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি জনপ্রিয় ফুড ডেলিভার অ্যাপ সুইগী কে নিয়ে একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন সুদীপা। যদিও বর্তমানে সেই পোস্টটি তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি ডিলিট করার আগেই সোশ্যাল মিডিয়া সেটা ভাইরাল হয়ে পড়ে।
প্রতীক মুখার্জি নামের এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন সেখানে দেখা যায় সুদীপা লিখেছেন, ‘আমি শুধু জানতে চাই সুইগির একজন ডেলিভারি বয়-ও কেন ফোন না করে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। আর ফোন করে কেন বলে, আমি আসছি, আপনি গেটটা খুলুন। আমি কি দারোয়ান নাকি যে গেট খুলব’। অন্য একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায় প্রতীকের মন্তব্য আর প্রতি কে সেই মন্তব্য দেখেই নাকি সুদীপা প্রতীকে ব্লক করে দেয়।
প্রতীক সুদীপার ওই পোস্টের তলায় মন্তব্য করেন, ‘‘আমি শুধু ভাবি যারাই একটু ফেমের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা এত চাইল্ডিশ কেন। একটু ম্যাচিওর নয় কেন। সুইগির ডেলিভারি পার্সনরা স্যালারি বা কমিশন পায় আপনাদের ডোরস্টেপে খাবার পৌঁছে দেবার জন্য়। বেশি কে বেশি ডোরবেল রিং করতে পারেন তাঁরা। দরজা খুলে, ছিটকিনি খুলে আপনাদের মুখে থাবড়া মেরে ‘এ নে গেল’ তারা বলতে পারেন না। সেই জন্য টাকাও পায় না। আর ফোনটা করে যাতে আপনি রেডি থাকতে পারেন নেওয়ার জন্য। কারণ তাঁদের হাতে সময় খুব কম জানেন তো! যত ডেলিভারি তত পয়সা বুঝলেন তো? এবার ওরা আপনার মতো ‘উমম কী ভালো খেতে, উমম কী ভালো গন্ধ, উমম কী নরম তুলতুলে’ এসব যাত্রাপালা করার জন্য টাকা পায় না। আশা করি বোঝাতে পারলাম।’’
আর এই দুটি স্ক্রিনশটটি প্রতীক সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে লেখেন ‘ব্যাপারটা হল, ‘আমমম উমমম’ করা সুদীপাম্যামের এবং আমার মধ্যেকার সম্পর্কটা সেই লকডাউন থেকেই ভালো যাচ্ছে না। এই নিয়ে আমাকে তৃতীয়বার ব্লক করলেন। দুঃখের ব্যাপার হল, এই কমেন্টটিতে প্রচুর রিয়্যাকশন পড়ে যেতেই আমি আজ ব্রাত্য পার্থ ওঁর প্রোফাইলে। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে কেউ ওঁর চেনা থাকলে বলবেন- প্রতীকের মাত্র ৩০ বছর বয়স। একটু ভদ্রতা, সহবত জ্ঞান, সহিষ্ণুতা, ২৫ গ্রাম পরিণত বোধ দিয়ে একটা ভালো তরকারি রান্না করে পাঠাতে চেয়েছিলেন। ব্যস এইটুকুই।’