দেবদূত রতন টাটা! খারাপ হয়ে যাওয়া বিমান সেফ ল্যান্ডিং করিয়ে সকলের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি

সফলতা আর মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া এ দুটোর মধ্যে অনেক ফারাক আছে। অনেক বিখ্যাত মানুষ জীবনে অনেক বড় সফল পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও অনেক সময় দেখা যায় মানুষ তাকে পছন্দ করে না, আবার অনেক সময় দেখা যায় সফল ধনী ব্যক্তি মানুষের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি চলে আসেন তার জনহিতকর কাজের দ্বারা, ঠিক যেমন বলিউডের তারকাদের মধ্যে সোনু সুদের কথা বলা যায়। ঠিক তেমনি সফল বড় ব্যবসায়ী হওয়ার সাথে সাথে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এমন মানুষের নাম যদি আপনাকে ভাবতে বলা হয় তাহলে অধিকাংশ মানুষই রতন টাটার নামটাই ভাববেন। কারণ তিনি শুধু একজন বড় ব্যবসায়ী নন তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা ও আদর্শ স্বরূপ।
নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা নিজের কোম্পানিকে উচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর মতো একাধিক সমাজসেবা করে চলেছেন তিনি। বর্ষীয়ান এই মানুষটির কর্মকাণ্ডের জন্য দেশবাসীর মধ্যে তার প্রতি যেমন শ্রদ্ধা রয়েছে তেমনি তার সম্পর্কে জানার একটা তীব্র উৎসাহও রয়েছে।
মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া এই ব্যবসায়ীর সম্পর্কে তাই প্রত্যেকেই ছোট বড় কথা জানতে চান। অনেকেই হয়ত জানেন না রতন টাটার কাছে পাইলটের লাইসেন্সও রয়েছে। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই এই লাইসেন্স পেয়েছেন রতন টাটা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,“প্রথমবার যখন আমি সার্কিট ট্রেনিং এবং ল্যান্ডিং প্র্যাকটিস করছিলাম, এটা খুবই সহজ ছিল কিন্তু দ্বিতীয়বার আমি আমার তিনজন সহপাঠীর সাথে ছিলাম আমরা কর্নেলের চারপাশে উড়ে যাচ্ছিলাম এবং তখন বিমানবন্দর থেকে আমরা নয় মাইল দূরে। এর পর ফিরে এসে আমরা ল্যান্ডিং করেছি।”
আরও পড়ুন: ছেলেকে গেম খেলা শেখানো নিয়ে রাজ শুভশ্রীর ঝগড়া, ঝগড়া থামাতে এলেন পরমব্রত!
একদিন একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেন বিমানে ঘটা একটি দুর্ঘটনার কথা, যখন তিনি সেফ ল্যান্ডিং করে সকলের প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলেন। রতন টাটা বলেছিলেন, কলেজের দিনগুলিতে হেলিকপ্টার ওড়ানোর সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন রতন টাটা। রতন টাটা একটি এক ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার ওড়াচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ে হঠাৎ করে ইঞ্জিনে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে এবং তিনি সেটি বুঝতে পারেন। তিনি জলের উপর দিয়ে উড়ছিলেন এবং অবশেষে জমির একদম শেষ প্রান্তে অবতরণ করেছিলেন। – এইভাবে একার চেষ্টায় সকলের প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই এই মানুষটি পিয়ানো শেখার ইচ্ছা প্রকাশ করায় মানুষের চোখে তার প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেশি বেড়ে গিয়েছে।