সুস্থ ও ফিট থাকতে কী স্বাস্থ্যসম্মত রান্না খান মুকেশ আম্বানি? বাড়ির রাঁধুনির মাইনে লাখ লাখ টাকা! রাঁধুনির জন্য রয়েছে বীমার সুবিধাও!

মুকেশ আম্বানিকে ধনকুবের বলা হয়। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তিনি। কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মানুষটি, আজ বিশ্বের ১০ জন ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তিনি। আম্বানি পরিবার তাই প্রায়ই আলোচনার মধ্যে থাকেন, তাদের জীবনযাপন, তাদের চলাফেরা এবং আদব-কায়দার জন্য। মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানিও আভিজাত্যপূর্ণ জীবনযাপন করেন। নীতা আম্বানি যে চা বাড়িতে খান তার দামই ১ লাখ টাকা।
মুকেশ আম্বানির এন্টিলিয়া নামক বাড়িটি বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দামি বাড়ি। বলে যেতে পারে বিশ্বের প্রায় সকল দামি জিনিসই তাদের বাড়িতে মজুত আছে। আর থাকবে নাই বা কেন এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি তিনি, অনেক পরিশ্রম করে সফল হয়েছেন, তাই তার জীবন যাপন সাধারণের থেকে আলাদা হবে তা আর নতুন কি। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে কাজের লোকের সংখ্যা ১০০০ এরও বেশি।
তার বাড়িতে তাই সব রকম সুযোগ-সুবিধা আছে। তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িতে সুইমিংপুল, স্পা, সিনেমা হল সব আছে। এই বাড়িতে যে সকল স্টাফেরা কাজ করেন তাদেরকে লাখ লাখ টাকা বেতন দেন আম্বানি। বেতনের টাকা ছাড়াও তাদের বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা ও দেন তিনি। বড় বড় ডিগ্রী করে প্রফেশনাল কোর্স করে মানুষ যে টাকা আয় করে, কোনরকম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই আম্বানির বাড়ির রাঁধুনিরা সেই টাকা পান।
একটি রিপোর্টে দেখা গেছে যে আম্বানির বাড়িতে যারা কাজ করে তাদের মাসিক বেতনই হল দু লাখ টাকা। ভাবছেন এত টাকা বেতন না জানি কত কি রান্না করতে হয়? শুনলে অবাক হবেন যে মুকেশ আম্বানির বাড়ির রান্নার লোকেদের সেভাবে বিশেষ কিছু রান্না করতে হয় না। কারণ আম্বানিরা নিরামিষভোজী। তারা নিরামিষ খাবার খান এবং সাধারণ খাবার বেশি পছন্দ করেন খেতে। যদিও তার বাড়িতে একটি রাঁধুনির পোস্টে কাজ পাওয়া সোজা কথা নয় কারণ মুকেশ আম্বানির বাড়িতে রাঁধুনি থেকে শুরু করে ড্রাইভারি যেকোনো চাকরি পেতে গেলেই টেস্টে পাশ করে তারপর চাকরি পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুকেশ আম্বানির বাড়িতে কাজ করা রাঁধুনী ও স্টাফেরা বিশাল অংকের মাইনে ছাড়াও নানান রকম সুযোগ-সুবিধা পান তাদের ইন্সুরেন্স বীমা রয়েছে। এছাড়া স্টাফদের বাচ্চার পড়াশোনার খরচ ও দেন আম্বানি। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে কাজ করা সেই সব স্টাফেদের বাচ্চারাও বিদেশে পড়াশোনা করেন।