Offbeat

এবার থেকে মদ খেলে গাড়ি চালু হবে না আর! তিন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের বিরাট আবিষ্কার নিয়ে পড়ে গেল শোরগোল

মাদক অবস্থায় গাড়ি চালানো নিজের এবং অপরজনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক তা জানার পরেও কিছু মানুষ সব ভুলে যান। এত বিজ্ঞাপন এত সচেতনতামূলক প্রচারের পর‌ও মদ খেয়ে উন্মত্তের মতো গাড়ি চালিয়ে নিজেদের জীবনের দুর্ঘটনা ডেকে আনেন কিছু জন। মাদক অবস্থায় গাড়ি চালানোর ফলে দিনকে দিন পথ দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়েই চলেছে, প্রচুর মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে প্রচুর মানুষ আহত হচ্ছেন তবু মানুষের হুশ ফিরেছে না! তাই মানুষের হুশ ফেরাতে এবার এগিয়ে এলেন ঝাড়খণ্ডের তিন জন ইঞ্জিনিয়ার! মাদক অবস্থায় কেউ যাতে আর গাড়ি না চালায় তার জন্য বিরাট আবিষ্কার করলেন তারা!

আরও পড়ুন: আগামীতেও টুপি পরে মসজিদে যাবো! আমার যা মনে হবে তাই করবো! রাজ চক্রবর্তীর এমন মন্তব্যের পিছনে কী কারণ জানেন

মদ খেয়ে উন্মত্তের মতো গাড়ি চালানো বন্ধ করবার জন্য পূর্ব ঝরিয়া অঞ্চলের কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার অজিত যাদব, সিদ্ধার্থ সুমন ও মনীশ বালমুচু একটি অনন্য ডিভাইস তৈরি করেছেন। জানা যাচ্ছে এই ডিভাইস এর ফলে যদি ড্রাইভার মাতাল অবস্থায় গাড়ি তে ওঠে তাহলে গাড়ি চালু হবে না। অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে মদ খেলে স্টার্ট হবে না গাড়ি! দুর্ঘটনা কমাতে ভারতীয় তিন ইঞ্জিনিয়ার মিলে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। দুইজন ওভারম্যানের সহযোগিতায় তিনজন মিলে এই ডিভাইস টি তৈরি করেছেন। তাদের আশা এই ডিভাইসটির ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচবে।

কীভাবে কাজ করবে এই ডিভাইসটি? ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন যে তাদের আবিষ্কার করা এই ডিভাইসটি যদি কোন গাড়িতে ইন্সটল করা থাকে তবে মাতাল ব্যক্তি চাইলেও গাড়িতে স্টার্ট করতে পারবেন না। তাদের আবিষ্কৃত এই ডিভাইসের নাম স্মার্ট সেফটি সিস্টেম এগেনস্ট অ্যালকোহল ইন ভেহিকেল সংক্ষেপে বলা যায় SSSAV। এই ডিভাইসটি এলসিডি, সেনসর, ও মাইক্রো কন্ট্রোল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক জিনিস আছে।

আরও পড়ুন: “ইন্ডাস্ট্রির কেউ ফোন করে আমাকে যাওয়ার কথা বলেননি”- আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে এবার কার দিকে নিশানা করে বিস্ফোরক হলেন মিমি?

এই ডিভাইসটি কাজ করা প্রসঙ্গে তিন ইঞ্জিনিয়ার বলেন, গাড়িতে এই ডিভাইসটি যদি ইনস্টল করা থাকে তাহলে এই ডিভাইসের সেন্সর ড্রাইভিং সিটে বসা ব্যক্তির শ্বাস পরীক্ষা করবে আর যদি ড্রাইভিং সিটে বসা ব্যক্তি মাতাল হয় তবে তাকে গাড়ি চালু করতে দেবে না। যদি গাড়িটি আগে থেকেই চালু থাকে এবং মাতাল ব্যক্তি পরে এসে ড্রাইভিং সিটে বসেন তাহলেও গাড়িটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

কীভাবে এই যন্ত্র তৈরির চিন্তাভাবনা তাদের মাথায় এসেছিল?

এই প্রসঙ্গে ভারতীয় ওই তিনজন ইঞ্জিনিয়ার বলেন, কয়লা পরিবহনের সময় অনেকগুলি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিলো। এই সময় দেখা গিয়েছিলো যে যতগুলি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চালক মাতাল ছিলেন সেই সময় থেকেই তাদের মধ্যে এই চিন্তা আসে যে যদি এরকম কোন যন্ত্র তৈরি করা যায়, যা গাড়ি চালু করা থেকেই চালককে বাধা দেবে তবে দুর্ঘটনার পরিমাণ কমানো যেতে পারে।

Related Articles

Back to top button