ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে শুরু করেছেন কেঁচো সারের ব্যবসা! এখন মাসে আয় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা

ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত নামি কোম্পানির মোটা বেতনের ইঞ্জিনিয়ার, হয়ে গেলেন কেঁচো সারের ব্যবসায়ী! শুনতে কেমন অবাক ঠেকছে তো? ভাবছেন, এমন ভূত মাথায় চাপে মানুষের ভালো চাকরি ছেড়ে শেষে কিনা কেঁচো সারের ব্যবসা। কিন্তু যাঁর কথা এতক্ষন বলছি তিনি বর্তমানে এই ব্যবসাতে নিজেকে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মীরাটের সদর বাজারের বাসিন্দা পায়েল আগরওয়াল, যিনি নিজের ব্যবসায়িক উচ্চ মানের ধারণা তার সাথে সাথে মনের জোর,চেষ্টা, ধৈর্যশক্তি এসবের দ্বারাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় নেমে নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজের চেষ্টার জোরে নিজের জীবনের গতিপথ একেবারে বদলে ফেলেছেন তিনি।
পায়েল আগরওয়াল একটি ভালো প্যাকেজের কোম্পানিতে চাকুরীরত থাকলেও তিনি ওই চাকরি নিয়ে খুব একটা প্রসন্ন ছিলেন না। আর তারপর থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তারপরেই মাথায় আসে স্টেট আপের চিন্তা ভাবনা। কেঁচো থেকে সার তৈরি করে সেই সার চাষের কাজে লাগানো। অতি সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে এসেও পরিশ্রম দিয়ে পায়েল আজ সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৬ সালে বি টেক পড়েছিলেন পায়েল আগরওয়াল। তারপর চাকরি ছেড়ে বাড়িতেই প্রথম শুরু করেছিলেন। একবার বেড়াতে রাজস্থান গিয়ে সেখান থেকে কেঁচো সার নিয়ে এসে বাগানে দিয়ে দেখেছিলেন ফলন খুব ভালো হয়।
তারপর তাঁর মাথায় এই ভাবনাটা আরও বেশি করে আসে। চাকরি ছেড়ে দিয়ে গ্রিন আর্থ অর্গানিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করে ফেলেন নিজের প্রচেষ্টায়। যদিও প্রথমে তিনি ভাড়ায় কিছু কেঁচো কম্পোস্ট করার জন্য জমি নেন। এইভাবে শুরুটা হলেও পরে চিত্রটা একেবারেই বদলে যায়। বর্তমানে তাঁর জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ জন একসাথে কাজ করে থাকেন। এমনকি বিভিন্ন রাজ্য যেমন রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড , হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যে তাঁর এক ডজন ইউনিট রয়েছে। ২.৫ টাকা নেওয়া হয়ে থাকে এক কেজি সারের মূল্য। এভাবেই তিনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে শুরু করেছেন।