ছাগল চরিয়েই বোর্ড টপার! বাবা নেই, টর্চের আলোতে পড়েও আজ ৯৩ শতাংশ পেয়ে সাফল্যের শীর্ষে রাজস্থানের মেয়ে

কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। লক্ষ্য স্থির থাকলে মানুষ করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই। যদি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয় তাহলে করতে হয় কঠোর পরিশ্রম, লাগে অনেক ধৈর্য্য। আর তাহলে মানুষ নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। লক্ষ্য যদি স্থির হয় তাহলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না কখনোই। আজ সেরকমই একজনের গল্প তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।
তার নাম রবিনা। রাজস্থানের বাসিন্দা সে। এই বছর কলা বিভাগ নিয়ে পড়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে সে। পরীক্ষায় সে ৯৩ শতাংশ পেয়ে পাশ করেছে। বিভিন্ন দারিদ্র্যতার মধ্যে দিয়ে মানুষ হয়েছে রবিনা। বাড়িতে তার বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে টর্চ এর আলোয় পড়াশুনা করেছে। গ্রামে গরু চড়িয়ে বেরিয়েছে। খুব অল্প বয়সেই তার বাবা মারা গেছেন। তারপর থেকে দারিদ্রতা নিত্য সঙ্গী। আজ তার এই সাফল্যে গর্বিত গোটা দেশ।
রবিনার বাড়ি রাজস্থানের আলওয়ার জেলাতে। গ্রামেরই এক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে সে। বাড়িতে তার মা ভাইবোনদের দায়িত্ব তার উপরেই। প্রতি মাসে সরকারের থেকে ২০০০ টাকা সাহায্য পায়। নোবেল জয়ী কৈলাস সত্যর্থী তাকে পড়াশুনার জন্য একটি মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন। নিজের কঠোর পরিশ্রম আর মানসিক জোরের কারনেই আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে রবিনা।
আজ তার এই সফলতা শুধু তার নয়, গোটা দেশের গর্ব। সমস্ত পিছিয়ে পড়া এবং দরিদ্র পরিবারের ছাত্র ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা সে।