ভাইরাল ভিডিও

পড়াশুনা না করিয়ে স্কুলে পড়তে আসা শিশুকে দিয়ে হাত টেপাচ্ছেন শিক্ষিকা, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

বিদ্যালয় শিক্ষার প্রাথমিক স্তম্ভ। বর্তমান সমাজে শিক্ষা ছাড়া জীবন অন্ধকার। একটি শিশুকে পুঁথিগত শিক্ষা দেওয়া শুরু করেন তার শিক্ষক বা শিক্ষিকাই। আর তাদের কাঁধেই দায়িত্ব থাকে শিশুটিকে পুঁথিগত শিক্ষা ও সর্বাঙ্গীণ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার। বিশেষত প্রাথমিক বিদ্যালয় হল শিক্ষার ভিত। সেখানেই শিক্ষিকার সংস্পর্শে এবং তার তত্ত্বাবধানে শিশুর শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করা হয়। শিক্ষক বা শিক্ষিকা উভয়ই শিক্ষাদানের প্রতি মনোযোগ দেবেন এমনটাই কাম্য। এর পরিবর্তে যদি দেখা যায় এক শিক্ষিকা তার স্কুলে পড়তে আসা শিশুদের দিয়ে হাত-পা ম্যাসাজ করাচ্ছেন! তবে কি এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায়? না, মেনে নেওয়া উচিত? সমাজের বুদ্ধিজীবী শ্রেনীর মধ্যে শিক্ষকেরা অগ্রগণ্য। তাদের এরূপ কর্মসূচি সমাজের ঠিক কোথায় আঘাত করছে তা কি বুঝতে পারছে না শিক্ষক সমাজ?

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যা রীতিমতো তোলপাড় করছে নেট পাড়া। ভিডিওটি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন সকলে। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছিল স্কুলে পড়াতে এসে এক শিক্ষিকার চূড়ান্ত অমানবিকতা। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক শিক্ষিকা ক্লাসরুমের চেয়ারে অর্থাৎ নিজের যথাস্থানেই বসে আছেন শিক্ষিকা। হাতে জলের বোতল অর্থাৎ জল খাচ্ছিলেন তিনি। এবং তিনি তার ক্লাসের ছেলে মেয়েদের শান্ত থাকতে বলছিলেন বারবার। কথা বলতে না করছিলেন। এত অবধি সব ঠিকই ছিল। কিন্তু তারপরেই ঘটলো এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। শিক্ষিকা সেই ক্লাসের এক বাচ্চাকে ডেকে নিজের হাত ম্যাসাজ করাতে লাগলেন তাকে দিয়ে। শিক্ষিকা বলেছে তাই বাচ্চাটিও সেই কাজটি করল।

অবাক হচ্ছেন তো? অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। এমন ধরনের ঘটনা যে সমাজে ঘুরছে সেখানে শিক্ষার ভিত্তি ঠিক কোন তলানিতে দাঁড়িয়ে তা ভাবার বিষয়। প্রসঙ্গত এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হারদোইয়ের এক সরকারি স্কুলে। স্কুলটির নাম পোখারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর সেই শিক্ষিকা যে তার ছাত্রকে দিয়ে নিজের হাত মেসেজ করার ছিলেন তার নাম উর্মিলা সিং। এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যায় বেসিক শিক্ষা অধিকারিক ভি পি সিংহের কাছে। আর তারপরেই ব্লক শিক্ষা আধিকারিকদের তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর শিক্ষিকা উর্মিলা সিং এই ঘটনার কারণে সাসপেন্ড হয়েছেন। তবে এরূপ ঘটনা সত্যিই সমাজের জন্য খুবই নিন্দনীয়। যেখানে শিক্ষক শিক্ষিকা নিজের কাজই করছেন না সেখানে শিক্ষার পেত নির্মিত হবে কিভাবে?

Related Articles

Back to top button