ভাইরাল ভিডিও

বাঘের মাসি ভেবে খোদ বাঘমামাকেই ঘরে নিয়ে যায় খুদে, খেলার সাথী বানায় তাকে! তারপর কী হলো?

বিড়ালকে বাঘের মাসি বলা হয়, তাই বলে যে বিড়াল বাঘ হয়ে যাবে! এমনটা কোন কবি সাহিত্যিকের কল্পনাতেও আসেনি। তবে যা কবি সাহিত্যিকরা ভাবতে পারেননি তাই ঘটল বাস্তবে। মহারাষ্ট্রে কয়েকটি বাচ্চা খেলতে গিয়ে একটি ছোট্ট বিড়াল ছানা কে দেখতে পায়, তারপর তারা সেই বিড়ালছানাটিকে সাথে করে তাদের সাথে ঘরে নিয়ে যায়।‌ এই বিড়ালছানাটিকেই তারা তাদের খেলার সাথী বানিয়ে নেয়‌। খুদের পরিবারের লোকজনেরাও বিড়াল ছানাকে খেলার সাথী বানানোয় কোন আপত্তি করেন না। কিন্তু দিনের পর দিন বিড়ালটির চালচলন দেখে সন্দেহ হতে শুরু করে তাদের! অবশেষে যা জানা যায় তা শুনে তাদের চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায়! বিড়ালছানা ভেবে চিতা বাঘের ছানা কে ঘরে নিয়ে এসেছে তাদের খুদেরা।

আরও পড়ুন: বিকিনি পরতে গেলে ভালো ফিগার‌ও থাকতে হয়! সমুদ্র বিচে বিকিনি পরে কটাক্ষের শিকার মিশমি!

মহারাষ্ট্রের মালগাও এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। বিড়ালছানা ভেবে চিতা বাঘের ছানাকেই বাড়িতে নিয়ে এসেছিল খুদের দল। একটি বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের মালগাও গ্রামের সাহেবরা‌ও গঙ্গারাম ঠাকরের মরজার এলাকার বাড়ির আশপাশ থেকেই গ্রামের বাচ্চারা খেলতে খেলতে চিতা বাঘের ছানাটিকে খুঁজে পায়। চিতা বাঘের ছানাটি আর পাঁচটা বিড়ালছানার মতোই দেখতে ছিল, তাই তারা বিড়ালের ছানা ভেবে সেটিকে ঘরে নিয়ে চলে আসে।

ওই গ্রামের কৃষকের ছেলেরা বাঘের ছানাটিকে বাড়ি নিয়ে গেলে তাদের পরিবারের লোকজন সেটিকে বিড়ালছানা ভেবে আদর যত্ন করতে শুরু করে এবং বিড়াল ভেবে তাকে দুধ রুটি ইত্যাদি খেতে দেয়। কিন্তু যতদিন যেতে থাকে বিড়ালটির চাল চলন দেখে তারা বুঝতে পারে, বাঘের মাসি নয় খোদ বাঘের ছানাকেই ঘরে নিয়ে এসেছে তাদের ছেলেরা। তখন তাদের মাথায় হাত পড়ে, রীতিমতো ঘাবড়ে যায় তারা‌।

আরও পড়ুন: নন্দনে শো না পেয়েও ইতিহাস তৈরি করলো অপরাজিত! কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ কে হারিয়ে কামাল করে দিলেন জিতু

এই বিষয়ে ঠাকরে বলেন,“ সব বাচ্চাগুলি বিড়ালটিকে দেখতে পেয়ে তাকে বিড়ালছানা ভেবে নিলেও আমার প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিলো যে,এটি চিতা বাঘের ছানা। তাই আমি বাচ্চাগুলোকে বাড়ি থেকে বের করতে মানা করি কারণ তাদের মা চিতাবাঘ বাচ্চাটিকে খুঁজতে আখ ক্ষেতে এসে ওই বাচ্চা গুলোর ওপর আক্রমণ করতে পারে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও মা চিতাবাঘ ছানার খোঁজে আসেনি।” চিতা শাবকটি ওই বাচ্চা গুলোর পরিবারের কাছেই ছিল, তারাই তাকে খাবার দিত, যদিও শাবকটির আচরণ নিয়ে সন্দেহ ছিল তাদের মনেও। এরপর ঠাকরের নাতনীকে চিতা শাবকটি কামড়ে দিলে বনবিভাগে খবর দিয়ে তারা সেটিকে বনবিভাগের হাতে তুলে দেন।

বাঘ ছানাটির হাবভাব প্রসঙ্গে ঠাকরে আরো বলেন, বাচ্চাগুলো যখন খেলতো তখন চিতাবাঘের শাবকটি চুপ করে বসে তাদের খেলা দেখতো। এর পরে একসময় বাচ্চা গুলোর সাথে চিতা বাঘের শাবকটিও খেলতে শুরু করে। সে কখনো খামারের দিকে যেতো কখনো বাড়ি ফিরে আসতো।

Related Articles

Back to top button