ভাইরাল ভিডিও

গান গাইতে গাইতে স্টেজে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু ভারতের বিখ্যাত গায়কের! ভাইরাল শেষ মুহূর্তের মর্মান্তিক ভিডিও

যে মানুষ যে প্রফেশনের সঙ্গে যুক্ত তিনি চান তিনি যেন সেই কাজটি করতে করতেই মৃত্যুবরণ করেন, ঠিক যেমনটা হল প্রবীণ গায়ক এদাভা বশীরের ক্ষেত্রে। এইদিন রাত্রে কেরালার আলাপুঝাতে ব্লু ডায়মন্ডের অর্কেস্টার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অনুষ্ঠান করতে করতে গান গাইতে গাইতেই প্রয়াত হলেন প্রবীণ এই গায়ক। গান গাইতে গাইতেই মঞ্চের মধ্যে পড়ে যান তিনি এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

আরও পড়ুন: তাকে নিয়ে ট্রোল করে উপরি রোজগার করার মানে তিনিই রোজগার করতে সাহায্য করছেন তাদের, ট্রোলারদের বিরুদ্ধে সপাট জবাব শ্রাবন্তীর

শনিবার ৯ টা ৩০ এ ক্যামেলট কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত মেগাস্টার মিউজিক নাইটেই প্রয়াণ ঘটে বিখ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পীর। ব্লু ডায়মন্ড অর্কেস্ট্রা শুরুর সময় তিনি তাদেরকে প্রধান গায়ক হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য অর্কেস্ট্রা সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। তবে গায়ক এর মৃত্যুর পরে এইদিন অনুষ্ঠান উদযাপন বন্ধ হয়ে যায়। শুধু এই অনুষ্ঠান বলেই নয় তার মৃত্যু সংবাদ শোনার পর কেরালা রাজ্য জুড়েই তার মৃত্যুর শোক পালন করা হচ্ছে। তার ভক্তরাও শোকে ভেঙে পড়েছেন প্রিয় গায়কের প্রয়াণের খবরটি শোনার পর।

কেরালার ভার্কালের কাছে ইদাভাতে জন্মে ছিলেন এদাভা বশীর। ছোট থেকেই সংগীতের প্রতি তার আলাদা একটি টান ছিল। তার এই আকর্ষণ জন্মানোর মূলে ছিলেন তার বাবা। তিনি ছোটো থেকেই বিদেশ থেকে আনা পুরনো রেকর্ড প্লেয়ারে গান শোনাতেন এদাভাকে, এই ভাবেই তিনি প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। রফির গান শুনিয়ে তিনি প্রশিক্ষিত করতে শুরু করেন ছেলেকে। পরবর্তীতে ছেলে স্কুল-কলেজে উঠে পুরস্কার জিতে নেয়। বশীর ও তার বন্ধুরা এরপর অল কেরালা মিউজিশিয়ান এন্ড টেকনিশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন শুরু করেন আর এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তিনি নিজেই ছিলেন। আকাশরূপিনী অন্নপূর্ণেশ্বরী ছিলো তার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান।

আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে হচ্ছে রিয়েলিটি শো, বাংলা ছবির মাথামুণ্ডু নেই, বলিউডে সব লবিবাজি! একটার পর একটা বিস্ফোরক মন্তব্য কুমার শানুর

গান গাইতে গাইতে স্টেজে লুটিয়ে পড়া সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, মর্মান্তিক সেই ভিডিও দেখে কেঁদে ফেলেছেন তার ভক্ত অনুরাগীরা। সকলেই বলেছেন এ দুঃসংবাদ সত্যিই অসহনীয়। অনেকে আবার বলেছেন, গানের প্রতি যার এত টান ছিল, জীবনের শেষ সময়ে গান গাইতে গাইতেই সে চলে গেল, এই মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও এই চলে যাওয়ার মধ্যেও রয়েছে গায়কের গৌরব, শেষ মুহূর্ত অবদি তার কাজের জগতে তার ভালোবাসার জগতেই রয়ে যেতে পেরেছিলেন তিনি।

Related Articles

Back to top button