সুপার স্টার সিঙ্গার ২ -এর মঞ্চ গানে গানে মাতিয়ে তুলল নদীয়ার ছেলে প্রাঞ্জল! জাজেস থেকে মেন্টর, মেন্টর থেকে দর্শক সকলকে বাকরুদ্ধ করেছে প্রাঞ্জল তার গানের মাধ্যমে

সম্প্রতি গানের রিয়ালিটি শো হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে “সুপার স্টার সিংগার ২” (Superstar singer 2)। সনি টিভিতে (Sony tv) টেলিকাস্ট হওয়া এই রিয়েলিটি শো – টি ক্ষুদে গায়ক গায়িকাদের প্রতিভাকে দর্শকের সামনে আনে। এই শোতেই নদীয়ার ছেলে প্রাঞ্জল (Pranjal) তার অসাধারণ গানের মাধ্যমে মন জিতে নিয়েছে সকলের। জাজেসরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছেন তার গান।
প্রাঞ্জল (Pranjal) এ অসাধারণ গানের ভিডিওটি বলিউড লেটেস্ট (Bollywood latest) নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায় প্রাঞ্জল দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সাথে গাইছে “ও জীবন রে ছাড়িয়া যাস না মোরে” আর তারপরই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে যায় এই ভিডিও। ৯১৪ র বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে এই ভিডিওটি। ভিডিওটিতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ লাইক করেছেন। সেখানেই কমেন্ট বক্সে দেখতে পাওয়া যায় নেটিজেনদের প্রশংসা মূলক কমেন্টস। অনেকেই সেখানে বলেছেন প্রাঞ্জল খুবই প্রতিভাশালী ছেলে এবং ঈশ্বর তার মঙ্গল করুন।
প্রসঙ্গত এই “সুপার স্টার সিঙ্গার ২” এর জাজেস হিসেবে রয়েছেন, আলকা ইয়াগ্নিক (Alka Yagnik), হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshammiya) এবং জাভেদ আলি (Javed Ali)। এছাড়াও এখানে ক্ষুদে শিল্পীদের মেন্টর হিসেবে রয়েছেন ইন্ডিয়ান আইডল (Indian idol) খ্যাত পাঁচ গায়ক গায়িকা। পবনদ্বীপ রাজন (Pawandeep Rajan), অরুনিতা কাঞ্জিলাল (Arunita Kanjlilal), সালমান আলি (Salman Ali), সাইলি কাম্বেল (Sayali Kamble) এবং মহদ দানিশ (Mohd. Danish)।
বাংলার ক্ষুদে গায়ক প্রাঞ্জল বিশ্বাস (Pranjal Biswas) তার গানের জাদুতে মাতিয়ে তুলেছিল সেই শো টি। সম্প্রতি ভিডিও প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে প্রাঞ্জলের প্রতি সকলের মুগ্ধতা। তার গানের জাদু ছড়িয়ে পড়েছে আনাচে কানাচে।
উল্লেখ্য এই দিন প্রাঞ্জলের গান শুনে বিচারক জাভেদ আলী (Javed Ali) তার বসার জায়গা থেকে উঠে পড়েছিলেন। বাকি দুই বিচারক মুক্ত দার সাথে প্রাঞ্জলের গান শুনছিলেন। অন্যদিকে মেন্টরদের মধ্যে অরুনিমা কাঞ্জিলাল (Arunima kanjilal) প্রাঞ্জল এর গান শুনে জোরে চিৎকার করে ওঠেন এবং পবনদ্বীপ (Pawandeep) খুব মনোযোগের সঙ্গে তার গানটি অনুভব করেন। সালমান (Salman) বাহ্ বলে ওঠে তো সাইলি কাম্বেল (Sayali Kamble) তো কেঁদেই ফেলেন। নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এমন পরিবেশ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে গানটি সকলের হৃদয় স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছিল।