এম এ পাশ করেও বাংলায় চাকরি কোথায়? পেটের দায়ে চালাতে হয় লটারির দোকান! রইলো এমন একজন মানুষের জীবনের গল্প

মধ্যবিত্ত আর গরিব পরিবারে খুব কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শেখান বাবা-মায়েরা। ছোট থেকে তারা দুচোখ ভোরে স্বপ্নে বড় হয় যে তারা হয় রাজ্য সরকার না হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কোন চাকরি করবেন। বিশেষত আইএএস, আইপিএস হয়ে থাকেন এইসব পরিবারের ছেলে মেয়েরাই। কিন্তু দুচোখ ভরে স্বপ্ন নিয়েও প্রবল চেষ্টা করেও বিফল হতে হয় এমন অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছেন। আজকে এমনই একজনের জীবনের গল্প শোনাবো আপনাদের।
নাম তন্ময় চুনারি। মুর্শিদাবাদের নওদার সাকোপারা এলাকার বাসিন্দা তন্ময় চুনারি। হাতে এবে পাসের সার্টিফিকেট থাকার পরেও স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। আসলে বেকারত্বের জ্বালা বড় জ্বালা। গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য নিজের স্বপ্ন হয়তো আকাশে চাঁদের মত। গরিব পরিবারের সংসারের খরচা, মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাতে গিয়ে নিজের স্বপ্নের পেছনে আর ছোটা হলো না তার। লটারি চালিয়ে সবদিক সামলাচ্ছেন তন্ময়।
তন্ময়ের স্বপ্ন ছিল কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের ডিফেন্সে চাকরি করার। প্রচুর বাধা বিপত্তি কাটিয়ে পরীক্ষা দিয়ে যায় সে। পাস করার পরেও শেষ পর্যন্ত চাকরিটা আর পাওয়া হলো না। স্বপ্ন রয়ে গেল অধরাই। সংসারের দায়িত্ব অনেক বড় হয়ে গেল। প্রসঙ্গত সপ্তম শ্রেণীতে থাকাকালীনই তার বাবা মারা যায়। আজ আমতলা বাজার এলাকায় গেলে তাকে দেখা যায়। সেখানে একটি ছোট্ট দোকান নিয়ে টিকিট বিক্রি করে সংসার চালান নিজের।
বাবা মারা যাওয়ার পর পড়াশোনা একপ্রকার ছেড়েই দিতে হয়। তারপরে দাদার ভরসাতে শুরু করেন আবার পড়াশোনা। কিন্তু তারপরে আবারো সংসারে নেমে আসে আর বিপর্যয়। মাস কয়েক আগেই নিজের দাদাকেও হারান তন্ময়। এরপর তাকে সংসার চালাতে দাদার ব্যবসাকেই ধরে নিতে হয়। দোকান চালানোর পাশাপাশি করেন টিউশনও। মনের একপ্রকার খুব থেকেই দাম দোকানের নাম। তার দোকানের নাম ‘এমএ পাস লটারিওয়ালা তন্ময়’।