‘আজি এ দিবসে রবির চড় কেমনে বসিল গালের ‘পর’! – কবিতার লাইনের সাথে একেবারে মিল রেখে চোখ বড়ো বড়ো করলেন মীর!

যেকোনো উৎসব অনুষ্ঠান হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট হোক, সবেতেই তিনি একেবারে সিদ্ধহস্ত। তাঁর মতো হাসির মজার মানুষের জুড়ি মেলা ভার। কার কথা বলছি বলুন তো? ভাবছেন তো? হাসির রাজা যিনি সেই মীর আফসার আলী। আজ ২৫ শে বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী। একেবারে বুক পর্যন্ত লম্বা দাড়ি, আলখাল্লা পোশাক পরনে, চোখে রয়েছে গোল চশমা হাজির হয়েছেন কবির বেশে। অনুরাগীদের হাসানোর জন্য যেকোনো কিছুতেই তাঁকে একেবারে নতুনত্বের ছোঁয়া দিয়ে হাজির হতে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবারও ব্যতিক্রম হলোনা। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে একেবারে কবির সাজেই হাজির হয়ে হাসিয়ে দিলেন সবাইকে। জাদুকর পিসি সরকারের বেশে এর আগেও একবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছিলেন কিন্তু এবার একেবারে আমাদের বিশ্বকবির সাজে হাজির হয়ে তাক লাগলেন মীর!
তবে শুধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাজ সেজেই থেমে যাননি তিনি সাথে সাথে আবার কবিগুরুর লেখা বিখ্যাত কবিতা, নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’র বিখ্যাত লাইন, আজি এ প্রভাতে রবির কর’মীরের ছোঁয়ায় নতুনরূপ পেয়েছে একেবারে যেনো আধুনিক স্বাদ এনেছেন তিনি কবিগুরুর কবিতার মধ্যে।
নিজের মতো করে কবিতার লাইন বদলে ফেলে তিনি লিখেছেন, আজি এ দিবসে রবির চড় কেমনে বসিল গালের ‘পর’! কবিতার পংক্তির সঙ্গে মিল রেখেই যেন তাঁর চোখ বড় বড় হয়ে উঠেছে।তবে এখানেই থেমে যাননি তিনি তার সাথে সাথে নিজের মনের মত করে আরও সংযোজন করেছেন, জন্মদিনের কেক কাটিবেন মহান বিশ্বকবি, বিশ্বভারতীরও কাছে নাই রবির এমন ছবি…!’
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই ছবি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। তবে রসিক মীরের কাণ্ড কারখানা দেখে দর্শকরা একেক জন একেক রকম মন্তব্য করেছেন। ‘মহা ফাজিল মীর’ বলে কেউ তাঁকে ব্যাখ্যা করেছেন, কেউ আবার বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ কখনও চোখ বড় করে ভয় দেখাননি!’ যেকোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মীর বরাবর নতুন নতুন রূপে সেইদিনের সার্থকতা বজায় রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে হাজির হন। তবে এবারের চিন্তা ভাবনা একেবারে অন্যরকম নতুনত্বের ছোঁয়া ছিল আগাগোড়া। বিশ্বকবির সাজে হাজির হওয়ার পর চমকে গিয়েছিলেন সমস্ত ভক্তরা। তবে সবাই বেশ মজাও পেয়েছেন।