ভাইরাল ভিডিও

ভাইরাল হওয়াই হলো কাল, ইউটিউবারদের ঠেলায় মাছ বিক্রি ভুলে এলাকা ছাড়তে বাধ‍্য হয়েছেন ‘মাছ কাকু’, ব্যবসা লাটে কুশল বাদ্যকরের

বাদাম কাকুর পর এবারে ভাইরাল মাছ কাকু। বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কুশল বাদ্যকরের মাছ বিক্রির ভিডিও। যদিও সকলের কাছেই তিনি এখন মাছ কাকু নামেই পরিচিত। ‘মাছ নেবেন দাদা মাছ নেবেন’ এই স্লোগানের এতদিন মাছ বিক্রি করতেন তিনি কিন্তু বর্তমানে এই ভাইরাল হওয়ায় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটু জনপ্রিয় হওয়ার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরিণাম যে এরকম হবে তার কোনরকম ধারণা ছিল না। এই অবস্থায় তার ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড়।

দূর্গাপুরের শোভাপুর এলাকার বাসিন্দা কুশলবাবু। মাছ বিক্রি করেই তার সংসার চলে। তবে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তার ব্যবসা লাটে উঠেছে। বাড়ি থেকে বেরোনো দায় হয়ে পড়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর পর সকলে মিলে তাকে ঘিরে ধরে সেলফি তোলার জন্য। এই ভয়ে দুসপ্তাহ নাকি বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারেননি তিনি। যার ফলে তার ব্যবসায় দারুণ ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিন তার গানের ভিডিও নিয়ে ইউটিউবাররা অর্থ উপার্জন করছেন। কুশলবাবুর বাপ ঠাকুরদার আমল থেকেই গান বাজনার চল রয়েছে কুশল বাদ‍্যকরের বাড়িতে দাদু ছিলেন শ্রীখোল বাদক। কুশালবাবুর বাবাও বাজাতেন বেহালা। সেকারণেই সুর তালের জ্ঞান রয়েছেন কুশলবাবুর মধ‍্যেও।

কিন্তু এখন ব‍্যবসাতে ক্ষতি তো হয়েছে কুষালবাবুর। এরপর আবার শিল্পীর সম্মান টুকুও পাচ্ছেন না তিনি। মাছ বিক্রির আগে তিনি একটি অফিসে কেরানির কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউনের সময় কাজ হারান তিনি, এরপরই মাছ বিক্রি শুরু করেছিলেন কুশল বাবু। গানে গানেই মাছ রাঁধার রেসিপিটাও বলে দিতেন। ব‍্যবসার কাজে গান আর একটি সাইকেল ছিল তাঁর সঙ্গী। সাইকেলে করি মাছের হাঁড়ি নিয়ে গান গাইতে গাইতে মাছ বিক্রি করতেন কুশল বাবু। গান ভাইরাল হওয়ায় বেশ খুশিই হয়ে হয়েছিলেন কিন্তু এখন তিনি যোগ্য সন্মান চান।

Related Articles

Back to top button